০৩:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডা. শাহীনের দক্ষ ব্যবস্থাপনায় বদলে গেছে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:০৩:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৩৬৭ Time View

আলী আজীম, মোংলা (বাগেরহাট): মোংলায় গ্রামীণ জনপদে উন্নত সেবার এক অনন্য দৃষ্টান্ত মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। মোংলা উপজেলার বেশির ভাগ মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র কেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সটির সার্বিক অবকাঠামোর সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি, নিয়ম শৃঙ্খলার উন্নতি ও সেবার মান
ব্যপক পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে হাসাপাতালের সেবা নিয়েও এলাকার মানুষ বেশ সন্তষ্ট।

প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকারে বদলে গেছে
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীনের দক্ষ
ব্যবস্থাপনায় অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়েও রোগীরা এখন আন্তরিকতাপূর্ণ সেবা
পাচ্ছেন।

প্রয়োজনীয় জনবল সংকট থাকা স্বত্বেও এখানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে সমন্বয় করে
তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নানা সংকট মোকাবেলার মাধ্যমে মোংলায় স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে
প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে চলেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ,
আন্তঃবিভাগ এবং বহির্বিভাগের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও
সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম এবং সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বিক কার্যক্রম তদারকির
মাধ্যমে মোংলার স্বাস্থ্য খাতের ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব অর্জন এবং এক অনন্য সুন্দর
সফলতা বলে আখ্যা দিচ্ছে স্থানীয়রা।

স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী বি এম ওয়াসিম আরমান জানান, নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে
সিসি ক্যামেরা দ্বারা পর্যেবক্ষণ করা হয়। এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দৃশ্যপট একেবারে পাল্টে
দিয়েছেন বর্তমান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো.
শাহীন। তিনি এখানে যোগদানের পর থেকে হাসপাতালের রোগীর খাবার, পরিষ্কার-
পরিচ্ছন্নতা, সুবিধা-অসুবিধাসহ সার্বিক বিষয়ে নানামুখী সৃজনশীল কার্যক্রম
পরিচালনা করছেন। তাছাড়া রাত অবধি হাসপাতালে কর্মব্যস্ত সময় পার করতেও দেখা গেছে
এই কর্মকর্তাকে।

তিনি আরো বলেন, যার উদাহরণ গত ১৫ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত
একটানা চলা এ অপারেশনে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে একদিনেই ১১ জন
প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশনে ১১টি নবজাতক ভূমিষ্ঠ হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক স্বাস্থ্যকর্মী জানান, কিভাবে আরো সহজে প্রতিটি
ইউনিয়ন, ওয়ার্ড এবং গ্রাম পর্যায়ে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা যায়- এ

ব্যাপারে প্রতিনিয়ত সভা-সমাবেশের মাধ্যমে তাদের সঠিক দিক-নির্দেশনা এবং পরামর্শ
প্রদান করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীন।

এখানের স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের কর্মকর্তার সৃজনশীল ভাবনা, শৃঙ্খলা ও যুগান্তকারী উদ্যোগের
জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীন কে কৃতজ্ঞতা জানান।

মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা.
প্রকাশ কুমার দাশ জানান, মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আওতায় উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র,
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক এবং স্যাটেলাইট ক্লিনিকগুলো
নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণ এবং সকলের দোরগোড়ায়
স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে এখানের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীন
স্যার অপরিসীম ভূমিকা পালন করছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পারিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. ডা. শাহীন বলেন, সকল
চিকিৎসক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয়
জনপ্রতিনিধিসহ সকলের সার্বিক সহযোগিতায় এ সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
আমরা আগামীতেও এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে চাই।

তিনি আরো বলেন, ৫০ শয্যার এ হাসপাতালটিতে সপ্তাহে একদিন শুধুমাত্র সোমবার রুটিন
অপারেশন চালু রয়েছে। সপ্তাহে একদিন অপারেশন ব্যবস্থা চালু থাকায় ওইদিন যত রোগী আসে
কিংবা ইমারজেন্সি সিচুয়েশন তৈরি হয়, সেই রোগীদের যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয় অপারেশন
করার। কাউকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। তাছাড়া এখানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ সেবা
দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের ২৩ মে ৩১ শয্যার এ হাসপাতালটি চালু হয়। এরপর ২০০৭ সালে ৫০ শয্যায়
উন্নীত হয় সরকারি এ হাসপাতাল। হাসপাতাল চালুর পর ২০২৩ সালের ১লা জুন বর্তমান
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীন্#৩৯;র তত্ত¡াবধানে এখানে অপারেশন
থিয়েটারটি চালু হয়। এরপর থেকে প্রতি সপ্তাহের সোমবার নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের
অপারেশন সেবা চালু রয়েছে।

হাসপাতালটিতে ২৮ জন চিকিৎসকের বিপরীতে রয়েছেন মাত্র ৮ জন। এই স্বল্প সংখ্যক
চিকিৎসক প্রতিনিয়ত তাদের নিয়মিত ডিউটির বাহিরে গিয়েও আন্তরিকতার সঙ্গে
অতিরিক্ত ডিউটি করে উপজেলার দূর-দূরান্ত থেকে আসা প্রতিদিন সকল জনসাধারণকে
নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আন্দোলনকারীদের সংযত থাকার আহ্বান নেপালের সেনাপ্রধানের

ডা. শাহীনের দক্ষ ব্যবস্থাপনায় বদলে গেছে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

Update Time : ০৭:০৩:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪

আলী আজীম, মোংলা (বাগেরহাট): মোংলায় গ্রামীণ জনপদে উন্নত সেবার এক অনন্য দৃষ্টান্ত মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। মোংলা উপজেলার বেশির ভাগ মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র কেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সটির সার্বিক অবকাঠামোর সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি, নিয়ম শৃঙ্খলার উন্নতি ও সেবার মান
ব্যপক পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে হাসাপাতালের সেবা নিয়েও এলাকার মানুষ বেশ সন্তষ্ট।

প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকারে বদলে গেছে
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীনের দক্ষ
ব্যবস্থাপনায় অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়েও রোগীরা এখন আন্তরিকতাপূর্ণ সেবা
পাচ্ছেন।

প্রয়োজনীয় জনবল সংকট থাকা স্বত্বেও এখানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে সমন্বয় করে
তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নানা সংকট মোকাবেলার মাধ্যমে মোংলায় স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে
প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে চলেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ,
আন্তঃবিভাগ এবং বহির্বিভাগের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও
সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম এবং সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বিক কার্যক্রম তদারকির
মাধ্যমে মোংলার স্বাস্থ্য খাতের ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব অর্জন এবং এক অনন্য সুন্দর
সফলতা বলে আখ্যা দিচ্ছে স্থানীয়রা।

স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী বি এম ওয়াসিম আরমান জানান, নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে
সিসি ক্যামেরা দ্বারা পর্যেবক্ষণ করা হয়। এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দৃশ্যপট একেবারে পাল্টে
দিয়েছেন বর্তমান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো.
শাহীন। তিনি এখানে যোগদানের পর থেকে হাসপাতালের রোগীর খাবার, পরিষ্কার-
পরিচ্ছন্নতা, সুবিধা-অসুবিধাসহ সার্বিক বিষয়ে নানামুখী সৃজনশীল কার্যক্রম
পরিচালনা করছেন। তাছাড়া রাত অবধি হাসপাতালে কর্মব্যস্ত সময় পার করতেও দেখা গেছে
এই কর্মকর্তাকে।

তিনি আরো বলেন, যার উদাহরণ গত ১৫ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত
একটানা চলা এ অপারেশনে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে একদিনেই ১১ জন
প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশনে ১১টি নবজাতক ভূমিষ্ঠ হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক স্বাস্থ্যকর্মী জানান, কিভাবে আরো সহজে প্রতিটি
ইউনিয়ন, ওয়ার্ড এবং গ্রাম পর্যায়ে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা যায়- এ

ব্যাপারে প্রতিনিয়ত সভা-সমাবেশের মাধ্যমে তাদের সঠিক দিক-নির্দেশনা এবং পরামর্শ
প্রদান করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীন।

এখানের স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের কর্মকর্তার সৃজনশীল ভাবনা, শৃঙ্খলা ও যুগান্তকারী উদ্যোগের
জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীন কে কৃতজ্ঞতা জানান।

মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা.
প্রকাশ কুমার দাশ জানান, মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আওতায় উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র,
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক এবং স্যাটেলাইট ক্লিনিকগুলো
নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণ এবং সকলের দোরগোড়ায়
স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে এখানের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীন
স্যার অপরিসীম ভূমিকা পালন করছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পারিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. ডা. শাহীন বলেন, সকল
চিকিৎসক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয়
জনপ্রতিনিধিসহ সকলের সার্বিক সহযোগিতায় এ সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
আমরা আগামীতেও এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে চাই।

তিনি আরো বলেন, ৫০ শয্যার এ হাসপাতালটিতে সপ্তাহে একদিন শুধুমাত্র সোমবার রুটিন
অপারেশন চালু রয়েছে। সপ্তাহে একদিন অপারেশন ব্যবস্থা চালু থাকায় ওইদিন যত রোগী আসে
কিংবা ইমারজেন্সি সিচুয়েশন তৈরি হয়, সেই রোগীদের যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয় অপারেশন
করার। কাউকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। তাছাড়া এখানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ সেবা
দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের ২৩ মে ৩১ শয্যার এ হাসপাতালটি চালু হয়। এরপর ২০০৭ সালে ৫০ শয্যায়
উন্নীত হয় সরকারি এ হাসপাতাল। হাসপাতাল চালুর পর ২০২৩ সালের ১লা জুন বর্তমান
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীন্#৩৯;র তত্ত¡াবধানে এখানে অপারেশন
থিয়েটারটি চালু হয়। এরপর থেকে প্রতি সপ্তাহের সোমবার নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের
অপারেশন সেবা চালু রয়েছে।

হাসপাতালটিতে ২৮ জন চিকিৎসকের বিপরীতে রয়েছেন মাত্র ৮ জন। এই স্বল্প সংখ্যক
চিকিৎসক প্রতিনিয়ত তাদের নিয়মিত ডিউটির বাহিরে গিয়েও আন্তরিকতার সঙ্গে
অতিরিক্ত ডিউটি করে উপজেলার দূর-দূরান্ত থেকে আসা প্রতিদিন সকল জনসাধারণকে
নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।