১০:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মৎস চাষে খরচ বাড়ায় রাজশাহী জেলার মৎস চাষীরা হতাশায় ভুগছেন”

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৪৩:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
  • ৭৩ Time View

পুঠিয়া (রাজশাহী) থেকে জাহাঙ্গীর আলম ।।
রাজশাহী জেলার মৎস চাষীরা বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। হতাশায় ভুগছেন অনেকেই। রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলা দূর্গাপুর উপজেলা ও বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য পুকুর ও জলাসয় গুলিতে মৎস চাষ করা হচ্ছে। অধিকাংশ মৎস চাষী উচ্চ মূল্যে পুকুর লিজ নিয়ে অধিক লাভের আশায় এই মৎস চাষ করছেন। প্রতিদিন অসংখ্য ট্রাক ভর্তি মাছ ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও শহর গুলোতে যায়। এর অধিকাংশই যায় রাজশাহী জেলা থেকে। বর্তমান মৎস চাষীরা সফলতা অর্জন করলেও তাদের নানা রকমের সমস্যা এবং দূর্ভোগ দেখা দিয়েছে। তাদের দুঃখ কষ্ট ও সমস্যার কথা শুনে পুঠিয়া, দূর্গাপুর ও বাগমারা উপজেলার মৎস চাষীদের সাথে সাক্ষাৎ করে তারা তাদের সমস্যার কথা জানায়। পুঠিয়া উপজেলা ৪নং ভালুকগাছী ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি নিজেও একজন মৎস চাষী। তিনি বলেন অত্র এলাকার মৎস চাষীরা বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। কারণ বর্তমান বাজারে সার, কীটনাশক ও গুনগত মান সম্পন্ন ফিড এর মূল্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফলে উচ্চ মূল্যে পন্য সামগ্রী ক্রয় করতে হচ্ছে। এভাবে তাদের মৎস চাষে বৃদ্ধি পাচ্ছে খরচের মাত্রা। যারা পুকুর লিজ নিয়ে মৎস চাষ করছেন তাদের সমস্যা আরও বেশি। কয়েক বছর পূর্বে প্রতি বিঘা বা ৩৩ শতাংশ পুকুর লিজ ছিল প্রতি বছরে ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা। পরে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছিল ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা। বর্তমান ১ বিঘা ৩৩ শতাংশ পুকুর লিজ চলছে ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা। সার কীট নাশক, ফিড ক্রয় করতে ঋণ গ্রস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকেই। যথা সময়ে উচ্চ মূল্যে পুকুর লীজের টাকা পরিশোধ করতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। পুঠিয়া উপজেলার মৎস চাষীদের মধ্যে মোঃ নাসির উদ্দিন প্রাং, মোঃ হায়দার আলী, মোঃ আঃ সালাম, মোৎ সাইদুর হাসান, মোঃ ইদ্রিস আলী, মোঃ এসাহক আলী, মোঃ তসলেম উদ্দিন, এবং দূর্গাপুর উপজেলার মোঃ একরামুল হক, মোঃ হায়দার আলী, মোঃ মনির উদ্দিন, মোঃ সাইফুল ইসলাম, সহ অন্যান্য মৎস চাষীরা একই সমস্যায় ভুগছেন। এ সব সমস্যার থেকে পরিত্রাণ পেতে ও আর্থিক সহযোগিতা পেতে জেলা মৎস কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এলাকার মৎস্য চাষিরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নিরাপদ সড়ক দিবসের আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত

মৎস চাষে খরচ বাড়ায় রাজশাহী জেলার মৎস চাষীরা হতাশায় ভুগছেন”

Update Time : ০৮:৪৩:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

পুঠিয়া (রাজশাহী) থেকে জাহাঙ্গীর আলম ।।
রাজশাহী জেলার মৎস চাষীরা বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। হতাশায় ভুগছেন অনেকেই। রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলা দূর্গাপুর উপজেলা ও বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য পুকুর ও জলাসয় গুলিতে মৎস চাষ করা হচ্ছে। অধিকাংশ মৎস চাষী উচ্চ মূল্যে পুকুর লিজ নিয়ে অধিক লাভের আশায় এই মৎস চাষ করছেন। প্রতিদিন অসংখ্য ট্রাক ভর্তি মাছ ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও শহর গুলোতে যায়। এর অধিকাংশই যায় রাজশাহী জেলা থেকে। বর্তমান মৎস চাষীরা সফলতা অর্জন করলেও তাদের নানা রকমের সমস্যা এবং দূর্ভোগ দেখা দিয়েছে। তাদের দুঃখ কষ্ট ও সমস্যার কথা শুনে পুঠিয়া, দূর্গাপুর ও বাগমারা উপজেলার মৎস চাষীদের সাথে সাক্ষাৎ করে তারা তাদের সমস্যার কথা জানায়। পুঠিয়া উপজেলা ৪নং ভালুকগাছী ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি নিজেও একজন মৎস চাষী। তিনি বলেন অত্র এলাকার মৎস চাষীরা বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। কারণ বর্তমান বাজারে সার, কীটনাশক ও গুনগত মান সম্পন্ন ফিড এর মূল্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফলে উচ্চ মূল্যে পন্য সামগ্রী ক্রয় করতে হচ্ছে। এভাবে তাদের মৎস চাষে বৃদ্ধি পাচ্ছে খরচের মাত্রা। যারা পুকুর লিজ নিয়ে মৎস চাষ করছেন তাদের সমস্যা আরও বেশি। কয়েক বছর পূর্বে প্রতি বিঘা বা ৩৩ শতাংশ পুকুর লিজ ছিল প্রতি বছরে ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা। পরে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছিল ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা। বর্তমান ১ বিঘা ৩৩ শতাংশ পুকুর লিজ চলছে ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা। সার কীট নাশক, ফিড ক্রয় করতে ঋণ গ্রস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকেই। যথা সময়ে উচ্চ মূল্যে পুকুর লীজের টাকা পরিশোধ করতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। পুঠিয়া উপজেলার মৎস চাষীদের মধ্যে মোঃ নাসির উদ্দিন প্রাং, মোঃ হায়দার আলী, মোঃ আঃ সালাম, মোৎ সাইদুর হাসান, মোঃ ইদ্রিস আলী, মোঃ এসাহক আলী, মোঃ তসলেম উদ্দিন, এবং দূর্গাপুর উপজেলার মোঃ একরামুল হক, মোঃ হায়দার আলী, মোঃ মনির উদ্দিন, মোঃ সাইফুল ইসলাম, সহ অন্যান্য মৎস চাষীরা একই সমস্যায় ভুগছেন। এ সব সমস্যার থেকে পরিত্রাণ পেতে ও আর্থিক সহযোগিতা পেতে জেলা মৎস কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এলাকার মৎস্য চাষিরা।