০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উদ্বোধনেই সীমাবদ্ধ খুলনা-মোংলা রেলপথ, চুরি হচ্ছে সরঞ্জাম

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:২৭:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৩১০ Time View

সবুজদিন ডেক্স।।
উদ্বোধনের তিন মাস পার হলেও খুলনা-মোংলা রুটে চালু হয়নি পণ্যবাহী কিংবা যাত্রীবাহী ট্রেন। এতদিনেও ট্রেন চলাচলের উপযোগী করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে রেলপথের বিভিন্ন স্থানে যন্ত্রপাতি চুরি হয়ে যাওয়ায় পুনরায় তা স্থাপনের জন্যই বিলম্ব হচ্ছে বলে জানায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
রেলপথের বিভিন্ন স্থানে স্প্রিংসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি চুরি হচ্ছে প্রায়ই।
খুলনা-মোংলা ৯১ কিলোমিটার রেলপথ গত বছরের পহেলা নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এ বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে ট্রেন চলাচলের কথা ছিল। তবে তিন মাসের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও উদ্বোধনেই সীমাবদ্ধ এই রেলপথ। স্টেশনগুলোতে এখনও ক্রয় করা হয়নি আসবাবপত্র। বাকি রয়েছে সিগন্যালিং ও টেলিকমিউনিকেশন কাজ।
উদ্বোধনের এতদিন পরও এই রেলপথ চালু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মফিদুল ইসলাম টুটুল বলেন, উদ্বোধনের পর তিন মাস পার হয়ে গেলেও কেন দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই রেলপথ চালু হয়নি তা আমাদের বোধগম্য নয়। এখানে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের গাফিলাতি রয়েছে। এই রেলপথ ঘিরে মানুষের এত অপেক্ষা অথচ তা এখনও কার্যকর করা হচ্ছে না। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত। একই সঙ্গে দ্রুত এই রেলপথ চালুর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ দরকার।
মোংলা কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের প্রচার ও দফতর সম্পাদক খন্দকার মো. সাজ্জাদুল ইসলাম বলেন, ‘মোংলা বন্দর ব্যবহার করে এই রেলপথ দিয়ে পণ্য আমদানি ও রফতানি করার জন্য আমরা মুখিয়ে আছি। কারণ, রেলপথে খরচ কমে আসবে অনেক। অর্থনৈতিক সম্ভাবনা খুলবে। সেই সঙ্গে যাত্রীরাও নানা সুবিধা পাবে। আমরা চাইব দ্রুতই যেন এই রেলপথ চালু হয়।’
রেলপথের বিভিন্ন স্থানে প্রায়ই স্প্রিংসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি চুরি হয়ে যাওয়ায় কাজ শেষ হতে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
রেলপথ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সহকারী ব্যবস্থাপক গিরিশ চন্দ্র ত্রিবেদী বলেন, এখন আমাদের কিছু ফিনিশিং কাজ বাকি আছে। আশা করছি মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই আমরা সব কাজ শেষ করতে পারব।
উদ্বোধনের পরও কেন এত দেরি হলো, জানতে চাইলে ত্রিবেদী গনমাধ্যম কমিদের বলেন, প্রকল্পের বিভিন্ন স্থানে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন স্প্রিং ও যন্ত্রপাতি চুরি হচ্ছে। ফলে এসব যন্ত্রপাতি পুনরায় স্থাপন করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। এখন হয়তো রেল চলবে। কিন্তু পুরো গতিতে রেল চালানোর জন্য প্রস্তুত করতে আমাদের আরও কিছুটা সময়ের প্রয়োজন।
খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ হোসাইন মাসুম বলেন, খুব সামান্য কিছু কাজ বাকি আছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে আমরা চাপ দিচ্ছি। তারা আমাদের কথা দিয়েছে, মার্চের প্রথম সপ্তাহে কাজ শেষ করবে।
খুলনা-মোংলা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান লার্সেন অ্যান্ড টার্বো এবং ইরকন ইন্টারন্যাশনাল। প্রকল্পে খরচ হচ্ছে ৪ হাজার ২৬১ কোটি টাকা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আন্দোলনকারীদের সংযত থাকার আহ্বান নেপালের সেনাপ্রধানের

উদ্বোধনেই সীমাবদ্ধ খুলনা-মোংলা রেলপথ, চুরি হচ্ছে সরঞ্জাম

Update Time : ০৬:২৭:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সবুজদিন ডেক্স।।
উদ্বোধনের তিন মাস পার হলেও খুলনা-মোংলা রুটে চালু হয়নি পণ্যবাহী কিংবা যাত্রীবাহী ট্রেন। এতদিনেও ট্রেন চলাচলের উপযোগী করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে রেলপথের বিভিন্ন স্থানে যন্ত্রপাতি চুরি হয়ে যাওয়ায় পুনরায় তা স্থাপনের জন্যই বিলম্ব হচ্ছে বলে জানায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
রেলপথের বিভিন্ন স্থানে স্প্রিংসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি চুরি হচ্ছে প্রায়ই।
খুলনা-মোংলা ৯১ কিলোমিটার রেলপথ গত বছরের পহেলা নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এ বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে ট্রেন চলাচলের কথা ছিল। তবে তিন মাসের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও উদ্বোধনেই সীমাবদ্ধ এই রেলপথ। স্টেশনগুলোতে এখনও ক্রয় করা হয়নি আসবাবপত্র। বাকি রয়েছে সিগন্যালিং ও টেলিকমিউনিকেশন কাজ।
উদ্বোধনের এতদিন পরও এই রেলপথ চালু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মফিদুল ইসলাম টুটুল বলেন, উদ্বোধনের পর তিন মাস পার হয়ে গেলেও কেন দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই রেলপথ চালু হয়নি তা আমাদের বোধগম্য নয়। এখানে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের গাফিলাতি রয়েছে। এই রেলপথ ঘিরে মানুষের এত অপেক্ষা অথচ তা এখনও কার্যকর করা হচ্ছে না। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত। একই সঙ্গে দ্রুত এই রেলপথ চালুর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ দরকার।
মোংলা কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের প্রচার ও দফতর সম্পাদক খন্দকার মো. সাজ্জাদুল ইসলাম বলেন, ‘মোংলা বন্দর ব্যবহার করে এই রেলপথ দিয়ে পণ্য আমদানি ও রফতানি করার জন্য আমরা মুখিয়ে আছি। কারণ, রেলপথে খরচ কমে আসবে অনেক। অর্থনৈতিক সম্ভাবনা খুলবে। সেই সঙ্গে যাত্রীরাও নানা সুবিধা পাবে। আমরা চাইব দ্রুতই যেন এই রেলপথ চালু হয়।’
রেলপথের বিভিন্ন স্থানে প্রায়ই স্প্রিংসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি চুরি হয়ে যাওয়ায় কাজ শেষ হতে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
রেলপথ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সহকারী ব্যবস্থাপক গিরিশ চন্দ্র ত্রিবেদী বলেন, এখন আমাদের কিছু ফিনিশিং কাজ বাকি আছে। আশা করছি মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই আমরা সব কাজ শেষ করতে পারব।
উদ্বোধনের পরও কেন এত দেরি হলো, জানতে চাইলে ত্রিবেদী গনমাধ্যম কমিদের বলেন, প্রকল্পের বিভিন্ন স্থানে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন স্প্রিং ও যন্ত্রপাতি চুরি হচ্ছে। ফলে এসব যন্ত্রপাতি পুনরায় স্থাপন করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। এখন হয়তো রেল চলবে। কিন্তু পুরো গতিতে রেল চালানোর জন্য প্রস্তুত করতে আমাদের আরও কিছুটা সময়ের প্রয়োজন।
খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ হোসাইন মাসুম বলেন, খুব সামান্য কিছু কাজ বাকি আছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে আমরা চাপ দিচ্ছি। তারা আমাদের কথা দিয়েছে, মার্চের প্রথম সপ্তাহে কাজ শেষ করবে।
খুলনা-মোংলা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান লার্সেন অ্যান্ড টার্বো এবং ইরকন ইন্টারন্যাশনাল। প্রকল্পে খরচ হচ্ছে ৪ হাজার ২৬১ কোটি টাকা।