০১:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে মা-মেয়েকে হত্যা : পুলিশ সুপার

সবুজদিন ডেস্ক।।
কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুড়ি এলাকায় একটি ভাড়াটিয়া বাসায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন কে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে মা তাহমিনা বেগম ফাতেমা ও সুমাইয়াক বালিশ চাপায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করে কথিত কবিরাজ মো. মোবারক হোসেন (২৯)। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার সময় কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন থেকে মোবারককে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তার মোবারক কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে। ঘটনাস্থলের পাশের একটি মাদরাসায় কর্মরত ছিলেন মোবারক।
(৯ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার দুপুর ২টায় কুমিল্লা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, ঝাড়ফুঁক করার সুবাদে মোবারক হোসেন সুমাইয়া আফরিনদের বাসায় যাতায়াত করতেন। রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় নগরীর কালিয়াজুরি এলাকায় নেলি কটেজ নামক বাসায় প্রবেশ করেন মোবারক। এরই মধ্যে মোবারক তাদের বাসায় ঝাড়ফুঁক করে পানি ছিটিয়ে বের হয়ে যায়। আবার বেলা সাড়ে ১১টায় ওই বাড়িতে প্রবেশ করে, যা সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায়।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, মোবারক তাদের বাসায় থাকাকালীন একপর্যায়ে সুমাইয়া আফরিনকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় তার মা বাধা দেন। এতে মোবারক ক্ষুব্ধ হয়ে সুমাইয়াকে এক ঘরে আটকে রেখে মা তাহমিনা বেগমকে অন্য একটি রুমে নিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। এরপর সুমাইয়াকে তার রুমে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় সুমাইয়া বাধা দিলে তাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। হত্যার পর মোবারক সুমাইয়াদের ঘর থেকে চারটি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, র‍্যাব ও পুলিশ পৃথক দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখে মোবারককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আন্দোলনকারীদের সংযত থাকার আহ্বান নেপালের সেনাপ্রধানের

কুমিল্লায় ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে মা-মেয়েকে হত্যা : পুলিশ সুপার

Update Time : ১২:৩৪:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সবুজদিন ডেস্ক।।
কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুড়ি এলাকায় একটি ভাড়াটিয়া বাসায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন কে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে মা তাহমিনা বেগম ফাতেমা ও সুমাইয়াক বালিশ চাপায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করে কথিত কবিরাজ মো. মোবারক হোসেন (২৯)। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার সময় কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন থেকে মোবারককে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তার মোবারক কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে। ঘটনাস্থলের পাশের একটি মাদরাসায় কর্মরত ছিলেন মোবারক।
(৯ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার দুপুর ২টায় কুমিল্লা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, ঝাড়ফুঁক করার সুবাদে মোবারক হোসেন সুমাইয়া আফরিনদের বাসায় যাতায়াত করতেন। রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় নগরীর কালিয়াজুরি এলাকায় নেলি কটেজ নামক বাসায় প্রবেশ করেন মোবারক। এরই মধ্যে মোবারক তাদের বাসায় ঝাড়ফুঁক করে পানি ছিটিয়ে বের হয়ে যায়। আবার বেলা সাড়ে ১১টায় ওই বাড়িতে প্রবেশ করে, যা সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায়।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, মোবারক তাদের বাসায় থাকাকালীন একপর্যায়ে সুমাইয়া আফরিনকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় তার মা বাধা দেন। এতে মোবারক ক্ষুব্ধ হয়ে সুমাইয়াকে এক ঘরে আটকে রেখে মা তাহমিনা বেগমকে অন্য একটি রুমে নিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। এরপর সুমাইয়াকে তার রুমে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় সুমাইয়া বাধা দিলে তাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। হত্যার পর মোবারক সুমাইয়াদের ঘর থেকে চারটি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, র‍্যাব ও পুলিশ পৃথক দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখে মোবারককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ