০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনা বিভাগের ‘ক’ তফসিলভুক্ত সব জমির তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে: ভূমিমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৪৪:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪
  • ৩৩১ Time View

সবুজদিন ডেক্স।।
খুলনায় ভূমিসেবা–সংক্রান্ত এক কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। বুধবার খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে
ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, খুলনা বিভাগের ‘ক’ তফসিলভুক্ত জমি যথাযথ ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয় ও খুলনা বিভাগীয় প্রশাসন। এ জন্য এরকম জমির তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরে ওই জমি ইজারা দিয়ে যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করবে জেলা প্রশাসন।
বুধবার খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানান ভূমিমন্ত্রী। ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ কর্মসূচি ‘অটোমেটেড ল্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’–এর আওতায় ভূমিসেবা ডিজিটালাইজেশন (১৮০ দিনের স্মার্ট কৌশল) বিষয়ক এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ এতে সভাপতিত্ব করেন। কর্মশালায় ভূমিসচিব মো. খলিলুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় উপস্থিত ভূমি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ভূমিমন্ত্রী বলেন, সরকারি সম্পদ রক্ষায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। আবার যাঁর জমির মালিকানার পক্ষে সব ধরনের দলিলাদি আছে, তাঁকে যেন কোনোভাবেই হয়রানি না করা হয়, সেদিকেও লক্ষ রাখতে হবে।
নারায়ণ চন্দ্র বলেন, অনেক সময় দেখা যায় জমির কেনাবেচার পর নামজারি করতে অযথা বিলম্ব করা হয়। অথচ ওই জমির প্রযোজ্য সব তদন্ত হয়তো কয়েক মাস আগেই করা হয়েছে। এই ধরনের নামজারি ক্ষেত্রে কোনোভাবেই যেন নামজারি নিষ্পত্তি করতে বিলম্ব না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, স্মার্ট ভূমিসেবা বাস্তবায়নে গতি আনতে ভূমি মন্ত্রণালয় সামগ্রিকভাবে ১৮০ দিনের এ বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছে।
খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি), ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, জেনারেল সার্টিফিকেট কর্মকর্তা, রেকর্ড রুম কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তারা এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আন্দোলনকারীদের সংযত থাকার আহ্বান নেপালের সেনাপ্রধানের

খুলনা বিভাগের ‘ক’ তফসিলভুক্ত সব জমির তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে: ভূমিমন্ত্রী

Update Time : ১১:৪৪:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪

সবুজদিন ডেক্স।।
খুলনায় ভূমিসেবা–সংক্রান্ত এক কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। বুধবার খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে
ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, খুলনা বিভাগের ‘ক’ তফসিলভুক্ত জমি যথাযথ ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয় ও খুলনা বিভাগীয় প্রশাসন। এ জন্য এরকম জমির তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরে ওই জমি ইজারা দিয়ে যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করবে জেলা প্রশাসন।
বুধবার খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানান ভূমিমন্ত্রী। ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ কর্মসূচি ‘অটোমেটেড ল্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’–এর আওতায় ভূমিসেবা ডিজিটালাইজেশন (১৮০ দিনের স্মার্ট কৌশল) বিষয়ক এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ এতে সভাপতিত্ব করেন। কর্মশালায় ভূমিসচিব মো. খলিলুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় উপস্থিত ভূমি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ভূমিমন্ত্রী বলেন, সরকারি সম্পদ রক্ষায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। আবার যাঁর জমির মালিকানার পক্ষে সব ধরনের দলিলাদি আছে, তাঁকে যেন কোনোভাবেই হয়রানি না করা হয়, সেদিকেও লক্ষ রাখতে হবে।
নারায়ণ চন্দ্র বলেন, অনেক সময় দেখা যায় জমির কেনাবেচার পর নামজারি করতে অযথা বিলম্ব করা হয়। অথচ ওই জমির প্রযোজ্য সব তদন্ত হয়তো কয়েক মাস আগেই করা হয়েছে। এই ধরনের নামজারি ক্ষেত্রে কোনোভাবেই যেন নামজারি নিষ্পত্তি করতে বিলম্ব না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, স্মার্ট ভূমিসেবা বাস্তবায়নে গতি আনতে ভূমি মন্ত্রণালয় সামগ্রিকভাবে ১৮০ দিনের এ বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছে।
খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি), ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, জেনারেল সার্টিফিকেট কর্মকর্তা, রেকর্ড রুম কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তারা এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন