০৩:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শরণখোলা

দেড় লক্ষাধিক মানুষের জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক মাত্র দুজন

শরণখোলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় দেড় লক্ষাধিক বাসিন্দার বসবাস। তাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে রয়েছে শরণখোলা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। তবে বিশাল এ জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসা দিতে সেখানে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র দুজন। চিকিৎসক সংকটে চিকিৎসা কার্যক্রমই ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এখনো শূন্য রয়েছে ২১টি চিকিৎসকের পদ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যার এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এতোদিন মাত্র চারজন চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা সেবার কাজ চলছিল। সম্প্রতি তাদের মধ্যে দুজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও খুলনা কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এই হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে আড়াইশ রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। ৫০ বেডের এ হাসপাতালে প্রতিদিন ভর্তি থাকেন ৮০/৯০ জন রোগী। জরুরি বিভাগেও সেবা নিতে আসেন অসংখ্য রোগী। তবে প্রতিদিন এতো মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে একদিকে যেমন রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে দুজন চিকিৎসককে, অন্যদিকে কাঙ্ক্ষিত সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ রোগী। অনেকে বাধ্য হয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি হচ্ছেন।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, অনেকক্ষণ সিরিয়ালে দাড়িয়ে থেকে চিকিৎসককে দেখাতে না পেরে কয়েকজন রোগী ফিরে যাচ্ছেন। চিকিৎসা নিতে আসা রাজাপুর গ্রামের হোসনেয়ারা বেগম, খোন্তাকাটা গ্রামের সাইদুর রহমানসহ কয়েকজন রোগী বলেন, হাসপাতালে ডাক্তার কম থাকায় রোগ দেখাতে না পেরে ফিরে যাচ্ছি।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশফাক হোসেন বলেন, হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে প্রশাসনিক কাজসহ বিভিন্ন দপ্তরে মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। আমাদের দুজন ডাক্তারকে হাসপাতালের আউটডোর ও ইনডোরে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। রোগীর চাপে সময় মতো খাওয়া-দাওয়া ও ঘুম হচ্ছেনা বলেও জানান তিনি।
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রিয় গোপাল বিশ্বাস বলেন, চিকিৎসকের অভাবে রোগীদের সেবা দেওয়া যাচ্ছে না। চারজন চিকিৎসকের দুইজন চিকিৎসককে খুলনা মেডিকেল কলেজে সংযুক্ত করায় চিকিৎসক সংকট দেখা দিয়েছে। তা ছাড়া এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন ধরনের ২১ চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে। হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে কমপক্ষে ৩/৪ জন চিকিৎসক প্রয়োজন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

জীববৈচিত্রে সমৃদ্ধ সুন্দরবন সুন্দর থাকুক

শরণখোলা

দেড় লক্ষাধিক মানুষের জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক মাত্র দুজন

Update Time : ০৬:৪১:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

শরণখোলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় দেড় লক্ষাধিক বাসিন্দার বসবাস। তাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে রয়েছে শরণখোলা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। তবে বিশাল এ জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসা দিতে সেখানে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র দুজন। চিকিৎসক সংকটে চিকিৎসা কার্যক্রমই ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এখনো শূন্য রয়েছে ২১টি চিকিৎসকের পদ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যার এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এতোদিন মাত্র চারজন চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা সেবার কাজ চলছিল। সম্প্রতি তাদের মধ্যে দুজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও খুলনা কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এই হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে আড়াইশ রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। ৫০ বেডের এ হাসপাতালে প্রতিদিন ভর্তি থাকেন ৮০/৯০ জন রোগী। জরুরি বিভাগেও সেবা নিতে আসেন অসংখ্য রোগী। তবে প্রতিদিন এতো মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে একদিকে যেমন রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে দুজন চিকিৎসককে, অন্যদিকে কাঙ্ক্ষিত সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ রোগী। অনেকে বাধ্য হয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি হচ্ছেন।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, অনেকক্ষণ সিরিয়ালে দাড়িয়ে থেকে চিকিৎসককে দেখাতে না পেরে কয়েকজন রোগী ফিরে যাচ্ছেন। চিকিৎসা নিতে আসা রাজাপুর গ্রামের হোসনেয়ারা বেগম, খোন্তাকাটা গ্রামের সাইদুর রহমানসহ কয়েকজন রোগী বলেন, হাসপাতালে ডাক্তার কম থাকায় রোগ দেখাতে না পেরে ফিরে যাচ্ছি।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশফাক হোসেন বলেন, হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে প্রশাসনিক কাজসহ বিভিন্ন দপ্তরে মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। আমাদের দুজন ডাক্তারকে হাসপাতালের আউটডোর ও ইনডোরে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। রোগীর চাপে সময় মতো খাওয়া-দাওয়া ও ঘুম হচ্ছেনা বলেও জানান তিনি।
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রিয় গোপাল বিশ্বাস বলেন, চিকিৎসকের অভাবে রোগীদের সেবা দেওয়া যাচ্ছে না। চারজন চিকিৎসকের দুইজন চিকিৎসককে খুলনা মেডিকেল কলেজে সংযুক্ত করায় চিকিৎসক সংকট দেখা দিয়েছে। তা ছাড়া এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন ধরনের ২১ চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে। হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে কমপক্ষে ৩/৪ জন চিকিৎসক প্রয়োজন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।