০৬:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মডেল উদ্ভাবনে কাজী আবেদ হোসেন

  • আলী আজীম
  • Update Time : ০৭:১৪:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
  • ১৪৪ Time View

আলী আজীম, মোংলা ।
নিয়ন্ত্রিত হতে যাচ্ছে দ্রব্যমূল্য। “দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ” ও “সহনীয়মূল্যে ইলিশ প্রাপ্তির মডেল”- সরকারের নিকট উপস্থাপিত হয়েছে। মোংলা বন্দরের সদস্য কাজী আবেদ হোসেন (যুগ্মসচিব) এ মডেল দেন। তিনি মডেলটি মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বরাবর উপস্থাপন করলে বন্দরের চেয়ারম্যান যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণের উদ্যোগ নেন। মডেলটি পরবর্তীতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রেরণ করে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দিয়ে ১৫ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পত্র দেয়। জনাব কাজী আবেদ হোসেন ২০০৩ সালে বান্দরবানের পর্যটন স্পট নীলাচলের আবিস্কারক। তিনি প্রজননের সময় ইলিশ মাছ না ধরার মডেল সৃষ্টি করেন এবং ০২ টি উপজেলায় ৫ বছর এ মডেল বাস্তবায়ন করে ২০০৯ সালে জাতীয় স্বর্ণপদক পান। এ মডেল ২০১১ থেকে সারাদেশে প্রতিষ্ঠিত ও চলমান।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে ১১টায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে দ্রব্য মুল্য নিয়ন্ত্রনের মডেল উদ্ভাবন অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করেন মোংলা বন্দর কতৃপক্ষের যুগ্নসচিব ও সদস্য অর্থ কাজী আবেদ হেসেন।
দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণের মডেলটিতে সরকারের অর্থ ব্যয় হবে না; অতিরিক্ত জনবলের প্রয়োজন নেই; নতুন আইন তৈরির প্রয়োজন নেই; সাধারণ মানুষের সহজে বোধগম্য এবং তাৎক্ষণিক বাস্তবায়ন সম্ভব। রূপরেখা সংক্ষেপে নি¤œরূপঃ ৩টি কমিটি হবে- (কোটা আন্দোলনে সকল ধরনের অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুর স্মরণে হতে পারে)
১) কমিটি-০১: সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ ও উপজেলার প্রতিটি হাটের সভাপতি ও সেক্রেটারি সদস্য হবেন;
২) কমিটি-০২: উপজেলা প্রশাসন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী;
৩) কমিটি-০৩: প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ফসলহানি বা অন্য কারণে আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধি অথবা অধিক উৎপাদনের কারণে মূলাহ্রাসকালীন কমিটি।
উপজেলায় বাস্তবায়ন পদ্ধতি:
ক) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির একটি তালিকা করবে;
খ) সপ্তাহব্যাপী বন্টনকৃত দায়িত্বের কর্মকর্তা বা কর্মচারী কর্তৃক গ্রামের হাট থেকে পণ্য-দ্রব্যের খুচরা ও পাইকারি মূল্য সংগ্রহ করবেন। দ্রব্যের এ ‘প্রান্তিক মূল্য’ সংগ্রহ করে স্বাক্ষরপূর্বক ইউএনও কার্যালয়ে জমা দিবেন। এটি সরকারি তথ্য হিসাবে গণ্য হবে;
গ) ইউএনও অফিস বাজার কর্মকর্তা বা সকল কর্মকর্তার বাজারের সংগৃহীত খুচরা মূল্যের ভিত্তিতে প্রতিটি দ্রব্যের গড়মূল্য প্রস্তুত করবে;
ঘ) প্রতি সপ্তাহে বা প্রয়োজন অনুযায়ী কমিটি-১ এরসভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি পণ্যের কেজি প্রতি গড় প্রান্তিক মূল্য নিয়ে বাজারের সভাপতি-সেক্রেটারির সাথে আলোচনা হবে। পরিবহন খরচ ও লভ্যাংশসহ আলোচনার ভিত্তিতে মূল্য নির্ধারণ হবে। সকলের স্বাক্ষরে তা সরকারি মূল্য হিসাবে পরিগণিত হবে। যেমন: আলু-২১টাকা থেকে ২৫টাকা;
ঙ) উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি বাজারে দৃশ্যমান স্থানে সাইন বোর্ড থাকবে। এ বোর্ডে প্রায় প্রতিটি অতি প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরকারি মূল্য প্রদর্শন করা হবে;
চ) প্রত্যেক বিক্রেতা সাইনবোর্ড-এ তার পণ্যের জন্য নির্ধারিত সরকারি দর দেখেবাজারে ঢুকবেন ও বিক্রয় করবেন;
ছ) স্থানীয় ডিস চ্যানেলে উপজেলার সরকারি পণ্যমূল্য দেখানো হবে; প্রয়োজনে খরাব প্রচার করতে হবে;
জ) সিভিল পোশাকে বিচ্ছিন্নভাবে ক্রেতার বেশে কমিটি-২ উপজেলায় মূল্য নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে;
ঝ) মূল্য অমান্যকারীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অথবা অন্য কোন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গৃহীত হবে;
জেলা ও বিভাগ:
ক) জেলা প্রশাসন শহর এলাকাকে কয়েকটি এলাকায় (তড়হব) চিহ্নিত করবে;
খ) প্রতিটি তড়হব এ আলাদাভাবে কমিটি-১ ও কমিটি-২ গঠিত হবে; তবে সব তড়হব এর সভা একসাথে;
গ) একই বাজারে একাধিক কমিটি থাকলে প্রতি কমিটির সভাপতি বা সেক্রেটারির আবশ্যিক উপস্থিতি নিশ্চিত থাকবে; মোট কমিটির সংখ্যা দশের অধিক হলে প্রতি চারটি কমিটি হতে একজন (ঈুপষরপ ঙৎফবৎষু) থাকবেন;
ঘ) কমিটি-১ এ কেন্দ্র থেকে মনোনীতছাত্র প্রতিনিধি (প্রদত্ত হলে), কৃষক প্রতিনিধি (যদি থাকে) থাকবেন;
ঙ) প্রতি উপজেলার ইউএনও জেলা প্রশাসক বরাবর জবঢ়ড়ৎঃ গধহধমবসবহঃ ঝুংঃবস (জগঝ) এর মাধ্যমে উপজেলার বাজার মূল্যবা ‘দ্বিতীয় মূল্য’তালিকা প্রেরণ করবে। জেলা প্রশাসন গড়মূল্য তালিকাপ্রস্তুত করবে;
চ) জেলায় গঠনকৃত কমিটি-১ এর সভার সিদ্ধান্তক্রমে সরকারি মূল্য তালিকা প্রস্তুত হবে; (আবশ্যিকভাবে বাজার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে);
ছ) প্রতিটি বাজারে দৃশ্যমান সাইনবোর্ডে সরকারি দ্রব্যমূল্য প্রদর্শিতহবে;
জ) স্থানীয় ডিস চ্যানেলে জেলার সরকারি পণ্যমূল্য দেখানো হবে; প্রয়োজনে খরাব প্রচার করতে হবে;
ঝ) সিভিল পোশাকে বিচ্ছিন্নভাবে ক্রেতার বেশে কমিটি-২ জেলায় মূল্য নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম:
ক) ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে কমপক্ষে ২০টি আলাদা এলাকায় (তড়হব) বিভক্ত করতে হবে;
খ) প্রতিটি তড়হব এ আলাদাভাবে কমিটি-১ ও কমিটি-২ গঠিত হবে; তবে সব তড়হব এর সভা একসাথে;
গ) একই বাজারে একাধিক কমিটি থাকলে প্রতি কমিটি হতে সভাপতি অথবা সেক্রেটারির আবশ্যিক উপস্থিতি নিশ্চিত থাকবে; মোট কমিটির সংখ্যা দশের অধিক হলে প্রতি পাঁচ কমিটি হতে একজন (ঈুপষরপ ঙৎফবৎষু) থাকবেন;
ঘ) কমিটি-১ এ কেন্দ্র থেকে মনোনীত ছাত্র প্রতিনিধি (প্রদত্ত হলে), কৃষক প্রতিনিধি (যদি থাকেন) থাকবেন;
ঙ) ঢাকা ও চট্টগ্রামের সিটি কর্পোরেশন এবং বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের মধ্যে দায়িত্বের সমন্বয় হবে;
চ) দেশের সকল জেলা থেকে দ্রব্যমূল্যের তালিকা বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা এবং কুমিল্লা থেকে দক্ষিণের অথবা দেশের সকল জেলার দ্রব্যমূল্যের তালিকা চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের নিকট জেলা প্রশাসকগণ জবঢ়ড়ৎঃ গধহধমবসবহঃ ঝুংঃবস (জগঝ) এর মাধ্যমেপ্রেরণ করবেন;
ছ) কমিটি-১ এর সভার সিদ্ধান্তক্রমে সরকারি মূল্য তালিকা প্রস্তুত হবে; (আবশ্যিকভাবে বাজার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে);
জ) প্রতিটি বাজারে দৃশ্যমান সাইনবোর্ডে সরকারি দ্রব্যমূল্য প্রদর্শিতহবে;
ঝ) সকল সরকারি ও বেসরকারি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের সরকারি পণ্যমূল্য দেখানো হবে; প্রয়োজনে খরাব প্রচার করতে হবে;
ঞ) সিভিল পোশাকে বিচ্ছিন্নভাবে ক্রেতার বেশে কমিটি-২ ঢাকা ও চট্টগ্রামে মূল্য নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ফসলহানি বা অন্য কারণে আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধিকালীনঃ
✓ কমিটি-৩ কর্তৃক উপজেলায় বা অধিক্ষেত্রে ঊর্ধ্বগতিশীল অথবা সকল পণ্যের প্রান্তিক মূল্য নির্ধারণ;
✓ ঊর্ধ্বগতিশীল মূল্য কমিটি-৩ দ্বারা নির্ধারিত হলে অন্যান্য দ্রব্যের মূল্য কমিটি-১ দ্বারা নির্ধারণ।
✓ ঊর্ধ্বগতিশীল পণ্যের (কাঁচামরিচ, আদা, টমেটো ইত্যাদি) প্রান্তিক মূল্য উপজেলার পাইকারি বাজার, আড়ত এবং হিমাগার থেকে সংগ্রহ:
✓ কোন পণ্যের দাম বেড়ে গেলে আড়তে ও হিমাগারে ১৫ দিনের বেশি মজুদ নয় (আলু ব্যতীত);
✓ সরকারি মূল্য স্থানীয় ডিস চ্যানেলে প্রচার; প্রয়োজনে খরাব প্রচার;
✓ উপজেলা, জেলা ও ঢাকায় পূর্বানুরূপ মূল্য নির্ধারণ ও তদারকি।
এভাবে সারাদেশে দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত হবে

স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনায় থাকবে:
ক) উৎপাদন ব্যয়ের উপর বিবেচনা করে সরকার সর্বনি¤œ মূল্য নির্ধারণ করে দেবে। হাটে যত আমদানি হোক সর্বনি¤œ মূল্যের নিচে বিক্রয় হবে না।
খ) ট্রেন স্টেশনের অনেকগুলি গ্রাম পরিবেষ্টিত দূরবর্তী উপজেলায় অবস্থিত। দেশের উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম সীমান্ত হতে সন্ধ্যায় বা অপরাহ্ণে এক বা একাধিক মালবাহী ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পণ্য প্রতিটি স্টেশনে উঠানামা করবে। নিত্য প্রয়োজনীয় পঁচনশীল দ্রব্য বিনা ভাড়ায় ঢাকায় পরিবহন করবে। ঢাকার কমলাপুরে এবং বড় শহরগুলিতে একটি করে ‘হাব (ঐঁন)’ তৈরি করা হবে। রাত ২.৩০-৩টার মধ্যে পণ্য ঢাকা পৌঁছাবে। সকাল ৬.০০ টার মধ্যেট্রাক-ট্রলির মাধ্যমে বিভিন্ন বাজারে পৌঁছাবে। ফলে যানজট হবে না। রেল যোগাযোগের ব্যয় সরকার বহন করবে বিধায় দ্রব্যমূল্য কমে আসবে বা নিয়ন্ত্রিত হবে;
গ) কমলাপুর বা বড় স্টেশন হতে বাজারে পরিবহনের জন্য সরকারের তালিকাভুক্ত ট্রাক থাকবে এবং সরকার পরিবহন ভাড়া নির্ধারণ করবে;
ঘ) সরকার স্টেশন অনুযায়ী পরিবহন শ্রমিকের তালিকা ও শ্রমব্যয় নির্ধারণ করবে;
ঙ) দেশের উল্লেখযোগ্য একস্থান থেকে আরেকস্থানের তালিকাভুক্ত পণ্যের পরিবহন ভাড়া (ঞৎধহংঢ়ড়ৎঃধঃরড়হ ঈড়ংঃ) সরকার নির্ধারণ করবে;
চ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত দ্রব্য ঢাকা বা সারাদেশে পরিবহনকালীন সড়ক বা সেতুতে টোল দিতে হবে না;
ছ) সিটি কর্পোরেশন এবং জেলার জনবহুল এলাকায় আরও বেশি ঙঁঃষবঃ বা বিক্রয়স্থান তৈরি করা হবে;
জ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পণ্য অনুযায়ী আড়তে মজুদকালীন সময় নির্ধারণ করা হবে; রশিদ ও সিসি ক্যামেরায় নিশ্চিত হবে, অতিরিক্ত সময় মজুদ নয়;
ঝ) সংশোধনপূর্বক খাদ্য মজুদ আইন, ২০২৩ প্রয়োগ করতে হবে।
বিশেষভাবে দ্রষ্টব্য বিষয়:
১) মডেলটিকে আরও প্রয়োগযোগ্য, বাস্তবভিত্তিক ও বহুমাত্রিক করতে দেশের সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞজন সমন্বয়ে একটি গবেষণা কমিটি হবে;
২) আড়ত বা মজুদাগার সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। বিশ দিনের বেশি মজুদ নয়; অথবা কোন পণ্য কতদিন আড়ত ও হিমাগারে থাকবে তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করে দিবে;
৩) কোন পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি বা দেশে ঘাটতি দেখা দিলে তা রপ্তানিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে:
৪) সীমান্ত দিয়ে পাচার বন্ধে বিজিবি’র নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে;
৫) হাট প্রতিনিধি পরপর দুই সভায় অনুপস্থিত থাকলে ব্যবস্থা;
৬) দেশে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিলে গবেষণা কমিটির জরুরি সভা;
৭) চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি হলে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে বিক্রয়ের সুযোগ থাকবে;
৮) ০২-০৩ মাস পর মডেল-এর পরিবর্ধন বা পরিমার্জন করা;
৯) সাধারণ মানুষকে জানাতে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে;
১০) বিভিন্ন অঢ়ঢ়ং তৈরি ও সংযোজনের মাধ্যমে পদ্ধতিকে আরও সহজ করতে হবে;
১১) মুরগী, বাচ্চা, ডিম বা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে উৎপাদক, পালনকারী ও ক্রেতা যেন সরাসরি মূল্যতথ্য পেতে পারেন এমন অঢ়ঢ়ং প্রণীত হবে।
উৎপাদন বৃদ্ধিকরণে পদক্ষেপ
✓ ডিজেলের মূল্য কমানো;
✓ হাওড়, নদী, বিলে মৎস্য চাষঃ
১) প্রজনন মৌসুমে মাছ না ধরা;
২) খাঁচা পদ্ধতিতে
ভাসমান সবজি চাষ;
অধিক ঘনত্বে চিংড়ি ও অন্যমাছ চাষ;
✓ কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডেরমাধ্যমে উপজেলার নির্দিষ্ট স্থানে সিসি ক্যামেরার আওতায় কৃষি ভর্তুকি প্রদান;
✓ মাছ, মুরগী ও পশুখাদ্য প্রস্তুতের কারখানা এবং গাভী পালনে ভর্তুকি;
✓ ঋববফ মূল্য কমিয়ে দুধ, ডিম, মাছ, মুরগী, গরুর মাংস এবং উপজাতের (ঘি, মিষ্টি, কেক) মূল্য কমানো;
✓ হাওড়ে হাঁস চাষ ও হ্যাচারিতে ডিম ফুটানো।
সহ একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ এর পরামর্শ দিয়েছেন

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

জীববৈচিত্রে সমৃদ্ধ সুন্দরবন সুন্দর থাকুক

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মডেল উদ্ভাবনে কাজী আবেদ হোসেন

Update Time : ০৭:১৪:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

আলী আজীম, মোংলা ।
নিয়ন্ত্রিত হতে যাচ্ছে দ্রব্যমূল্য। “দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ” ও “সহনীয়মূল্যে ইলিশ প্রাপ্তির মডেল”- সরকারের নিকট উপস্থাপিত হয়েছে। মোংলা বন্দরের সদস্য কাজী আবেদ হোসেন (যুগ্মসচিব) এ মডেল দেন। তিনি মডেলটি মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বরাবর উপস্থাপন করলে বন্দরের চেয়ারম্যান যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণের উদ্যোগ নেন। মডেলটি পরবর্তীতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রেরণ করে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দিয়ে ১৫ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পত্র দেয়। জনাব কাজী আবেদ হোসেন ২০০৩ সালে বান্দরবানের পর্যটন স্পট নীলাচলের আবিস্কারক। তিনি প্রজননের সময় ইলিশ মাছ না ধরার মডেল সৃষ্টি করেন এবং ০২ টি উপজেলায় ৫ বছর এ মডেল বাস্তবায়ন করে ২০০৯ সালে জাতীয় স্বর্ণপদক পান। এ মডেল ২০১১ থেকে সারাদেশে প্রতিষ্ঠিত ও চলমান।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে ১১টায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে দ্রব্য মুল্য নিয়ন্ত্রনের মডেল উদ্ভাবন অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করেন মোংলা বন্দর কতৃপক্ষের যুগ্নসচিব ও সদস্য অর্থ কাজী আবেদ হেসেন।
দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণের মডেলটিতে সরকারের অর্থ ব্যয় হবে না; অতিরিক্ত জনবলের প্রয়োজন নেই; নতুন আইন তৈরির প্রয়োজন নেই; সাধারণ মানুষের সহজে বোধগম্য এবং তাৎক্ষণিক বাস্তবায়ন সম্ভব। রূপরেখা সংক্ষেপে নি¤œরূপঃ ৩টি কমিটি হবে- (কোটা আন্দোলনে সকল ধরনের অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুর স্মরণে হতে পারে)
১) কমিটি-০১: সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ ও উপজেলার প্রতিটি হাটের সভাপতি ও সেক্রেটারি সদস্য হবেন;
২) কমিটি-০২: উপজেলা প্রশাসন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী;
৩) কমিটি-০৩: প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ফসলহানি বা অন্য কারণে আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধি অথবা অধিক উৎপাদনের কারণে মূলাহ্রাসকালীন কমিটি।
উপজেলায় বাস্তবায়ন পদ্ধতি:
ক) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির একটি তালিকা করবে;
খ) সপ্তাহব্যাপী বন্টনকৃত দায়িত্বের কর্মকর্তা বা কর্মচারী কর্তৃক গ্রামের হাট থেকে পণ্য-দ্রব্যের খুচরা ও পাইকারি মূল্য সংগ্রহ করবেন। দ্রব্যের এ ‘প্রান্তিক মূল্য’ সংগ্রহ করে স্বাক্ষরপূর্বক ইউএনও কার্যালয়ে জমা দিবেন। এটি সরকারি তথ্য হিসাবে গণ্য হবে;
গ) ইউএনও অফিস বাজার কর্মকর্তা বা সকল কর্মকর্তার বাজারের সংগৃহীত খুচরা মূল্যের ভিত্তিতে প্রতিটি দ্রব্যের গড়মূল্য প্রস্তুত করবে;
ঘ) প্রতি সপ্তাহে বা প্রয়োজন অনুযায়ী কমিটি-১ এরসভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি পণ্যের কেজি প্রতি গড় প্রান্তিক মূল্য নিয়ে বাজারের সভাপতি-সেক্রেটারির সাথে আলোচনা হবে। পরিবহন খরচ ও লভ্যাংশসহ আলোচনার ভিত্তিতে মূল্য নির্ধারণ হবে। সকলের স্বাক্ষরে তা সরকারি মূল্য হিসাবে পরিগণিত হবে। যেমন: আলু-২১টাকা থেকে ২৫টাকা;
ঙ) উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি বাজারে দৃশ্যমান স্থানে সাইন বোর্ড থাকবে। এ বোর্ডে প্রায় প্রতিটি অতি প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরকারি মূল্য প্রদর্শন করা হবে;
চ) প্রত্যেক বিক্রেতা সাইনবোর্ড-এ তার পণ্যের জন্য নির্ধারিত সরকারি দর দেখেবাজারে ঢুকবেন ও বিক্রয় করবেন;
ছ) স্থানীয় ডিস চ্যানেলে উপজেলার সরকারি পণ্যমূল্য দেখানো হবে; প্রয়োজনে খরাব প্রচার করতে হবে;
জ) সিভিল পোশাকে বিচ্ছিন্নভাবে ক্রেতার বেশে কমিটি-২ উপজেলায় মূল্য নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে;
ঝ) মূল্য অমান্যকারীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অথবা অন্য কোন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গৃহীত হবে;
জেলা ও বিভাগ:
ক) জেলা প্রশাসন শহর এলাকাকে কয়েকটি এলাকায় (তড়হব) চিহ্নিত করবে;
খ) প্রতিটি তড়হব এ আলাদাভাবে কমিটি-১ ও কমিটি-২ গঠিত হবে; তবে সব তড়হব এর সভা একসাথে;
গ) একই বাজারে একাধিক কমিটি থাকলে প্রতি কমিটির সভাপতি বা সেক্রেটারির আবশ্যিক উপস্থিতি নিশ্চিত থাকবে; মোট কমিটির সংখ্যা দশের অধিক হলে প্রতি চারটি কমিটি হতে একজন (ঈুপষরপ ঙৎফবৎষু) থাকবেন;
ঘ) কমিটি-১ এ কেন্দ্র থেকে মনোনীতছাত্র প্রতিনিধি (প্রদত্ত হলে), কৃষক প্রতিনিধি (যদি থাকে) থাকবেন;
ঙ) প্রতি উপজেলার ইউএনও জেলা প্রশাসক বরাবর জবঢ়ড়ৎঃ গধহধমবসবহঃ ঝুংঃবস (জগঝ) এর মাধ্যমে উপজেলার বাজার মূল্যবা ‘দ্বিতীয় মূল্য’তালিকা প্রেরণ করবে। জেলা প্রশাসন গড়মূল্য তালিকাপ্রস্তুত করবে;
চ) জেলায় গঠনকৃত কমিটি-১ এর সভার সিদ্ধান্তক্রমে সরকারি মূল্য তালিকা প্রস্তুত হবে; (আবশ্যিকভাবে বাজার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে);
ছ) প্রতিটি বাজারে দৃশ্যমান সাইনবোর্ডে সরকারি দ্রব্যমূল্য প্রদর্শিতহবে;
জ) স্থানীয় ডিস চ্যানেলে জেলার সরকারি পণ্যমূল্য দেখানো হবে; প্রয়োজনে খরাব প্রচার করতে হবে;
ঝ) সিভিল পোশাকে বিচ্ছিন্নভাবে ক্রেতার বেশে কমিটি-২ জেলায় মূল্য নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম:
ক) ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে কমপক্ষে ২০টি আলাদা এলাকায় (তড়হব) বিভক্ত করতে হবে;
খ) প্রতিটি তড়হব এ আলাদাভাবে কমিটি-১ ও কমিটি-২ গঠিত হবে; তবে সব তড়হব এর সভা একসাথে;
গ) একই বাজারে একাধিক কমিটি থাকলে প্রতি কমিটি হতে সভাপতি অথবা সেক্রেটারির আবশ্যিক উপস্থিতি নিশ্চিত থাকবে; মোট কমিটির সংখ্যা দশের অধিক হলে প্রতি পাঁচ কমিটি হতে একজন (ঈুপষরপ ঙৎফবৎষু) থাকবেন;
ঘ) কমিটি-১ এ কেন্দ্র থেকে মনোনীত ছাত্র প্রতিনিধি (প্রদত্ত হলে), কৃষক প্রতিনিধি (যদি থাকেন) থাকবেন;
ঙ) ঢাকা ও চট্টগ্রামের সিটি কর্পোরেশন এবং বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের মধ্যে দায়িত্বের সমন্বয় হবে;
চ) দেশের সকল জেলা থেকে দ্রব্যমূল্যের তালিকা বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা এবং কুমিল্লা থেকে দক্ষিণের অথবা দেশের সকল জেলার দ্রব্যমূল্যের তালিকা চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের নিকট জেলা প্রশাসকগণ জবঢ়ড়ৎঃ গধহধমবসবহঃ ঝুংঃবস (জগঝ) এর মাধ্যমেপ্রেরণ করবেন;
ছ) কমিটি-১ এর সভার সিদ্ধান্তক্রমে সরকারি মূল্য তালিকা প্রস্তুত হবে; (আবশ্যিকভাবে বাজার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে);
জ) প্রতিটি বাজারে দৃশ্যমান সাইনবোর্ডে সরকারি দ্রব্যমূল্য প্রদর্শিতহবে;
ঝ) সকল সরকারি ও বেসরকারি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের সরকারি পণ্যমূল্য দেখানো হবে; প্রয়োজনে খরাব প্রচার করতে হবে;
ঞ) সিভিল পোশাকে বিচ্ছিন্নভাবে ক্রেতার বেশে কমিটি-২ ঢাকা ও চট্টগ্রামে মূল্য নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ফসলহানি বা অন্য কারণে আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধিকালীনঃ
✓ কমিটি-৩ কর্তৃক উপজেলায় বা অধিক্ষেত্রে ঊর্ধ্বগতিশীল অথবা সকল পণ্যের প্রান্তিক মূল্য নির্ধারণ;
✓ ঊর্ধ্বগতিশীল মূল্য কমিটি-৩ দ্বারা নির্ধারিত হলে অন্যান্য দ্রব্যের মূল্য কমিটি-১ দ্বারা নির্ধারণ।
✓ ঊর্ধ্বগতিশীল পণ্যের (কাঁচামরিচ, আদা, টমেটো ইত্যাদি) প্রান্তিক মূল্য উপজেলার পাইকারি বাজার, আড়ত এবং হিমাগার থেকে সংগ্রহ:
✓ কোন পণ্যের দাম বেড়ে গেলে আড়তে ও হিমাগারে ১৫ দিনের বেশি মজুদ নয় (আলু ব্যতীত);
✓ সরকারি মূল্য স্থানীয় ডিস চ্যানেলে প্রচার; প্রয়োজনে খরাব প্রচার;
✓ উপজেলা, জেলা ও ঢাকায় পূর্বানুরূপ মূল্য নির্ধারণ ও তদারকি।
এভাবে সারাদেশে দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত হবে

স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনায় থাকবে:
ক) উৎপাদন ব্যয়ের উপর বিবেচনা করে সরকার সর্বনি¤œ মূল্য নির্ধারণ করে দেবে। হাটে যত আমদানি হোক সর্বনি¤œ মূল্যের নিচে বিক্রয় হবে না।
খ) ট্রেন স্টেশনের অনেকগুলি গ্রাম পরিবেষ্টিত দূরবর্তী উপজেলায় অবস্থিত। দেশের উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম সীমান্ত হতে সন্ধ্যায় বা অপরাহ্ণে এক বা একাধিক মালবাহী ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পণ্য প্রতিটি স্টেশনে উঠানামা করবে। নিত্য প্রয়োজনীয় পঁচনশীল দ্রব্য বিনা ভাড়ায় ঢাকায় পরিবহন করবে। ঢাকার কমলাপুরে এবং বড় শহরগুলিতে একটি করে ‘হাব (ঐঁন)’ তৈরি করা হবে। রাত ২.৩০-৩টার মধ্যে পণ্য ঢাকা পৌঁছাবে। সকাল ৬.০০ টার মধ্যেট্রাক-ট্রলির মাধ্যমে বিভিন্ন বাজারে পৌঁছাবে। ফলে যানজট হবে না। রেল যোগাযোগের ব্যয় সরকার বহন করবে বিধায় দ্রব্যমূল্য কমে আসবে বা নিয়ন্ত্রিত হবে;
গ) কমলাপুর বা বড় স্টেশন হতে বাজারে পরিবহনের জন্য সরকারের তালিকাভুক্ত ট্রাক থাকবে এবং সরকার পরিবহন ভাড়া নির্ধারণ করবে;
ঘ) সরকার স্টেশন অনুযায়ী পরিবহন শ্রমিকের তালিকা ও শ্রমব্যয় নির্ধারণ করবে;
ঙ) দেশের উল্লেখযোগ্য একস্থান থেকে আরেকস্থানের তালিকাভুক্ত পণ্যের পরিবহন ভাড়া (ঞৎধহংঢ়ড়ৎঃধঃরড়হ ঈড়ংঃ) সরকার নির্ধারণ করবে;
চ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত দ্রব্য ঢাকা বা সারাদেশে পরিবহনকালীন সড়ক বা সেতুতে টোল দিতে হবে না;
ছ) সিটি কর্পোরেশন এবং জেলার জনবহুল এলাকায় আরও বেশি ঙঁঃষবঃ বা বিক্রয়স্থান তৈরি করা হবে;
জ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পণ্য অনুযায়ী আড়তে মজুদকালীন সময় নির্ধারণ করা হবে; রশিদ ও সিসি ক্যামেরায় নিশ্চিত হবে, অতিরিক্ত সময় মজুদ নয়;
ঝ) সংশোধনপূর্বক খাদ্য মজুদ আইন, ২০২৩ প্রয়োগ করতে হবে।
বিশেষভাবে দ্রষ্টব্য বিষয়:
১) মডেলটিকে আরও প্রয়োগযোগ্য, বাস্তবভিত্তিক ও বহুমাত্রিক করতে দেশের সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞজন সমন্বয়ে একটি গবেষণা কমিটি হবে;
২) আড়ত বা মজুদাগার সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। বিশ দিনের বেশি মজুদ নয়; অথবা কোন পণ্য কতদিন আড়ত ও হিমাগারে থাকবে তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করে দিবে;
৩) কোন পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি বা দেশে ঘাটতি দেখা দিলে তা রপ্তানিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে:
৪) সীমান্ত দিয়ে পাচার বন্ধে বিজিবি’র নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে;
৫) হাট প্রতিনিধি পরপর দুই সভায় অনুপস্থিত থাকলে ব্যবস্থা;
৬) দেশে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিলে গবেষণা কমিটির জরুরি সভা;
৭) চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি হলে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে বিক্রয়ের সুযোগ থাকবে;
৮) ০২-০৩ মাস পর মডেল-এর পরিবর্ধন বা পরিমার্জন করা;
৯) সাধারণ মানুষকে জানাতে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে;
১০) বিভিন্ন অঢ়ঢ়ং তৈরি ও সংযোজনের মাধ্যমে পদ্ধতিকে আরও সহজ করতে হবে;
১১) মুরগী, বাচ্চা, ডিম বা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে উৎপাদক, পালনকারী ও ক্রেতা যেন সরাসরি মূল্যতথ্য পেতে পারেন এমন অঢ়ঢ়ং প্রণীত হবে।
উৎপাদন বৃদ্ধিকরণে পদক্ষেপ
✓ ডিজেলের মূল্য কমানো;
✓ হাওড়, নদী, বিলে মৎস্য চাষঃ
১) প্রজনন মৌসুমে মাছ না ধরা;
২) খাঁচা পদ্ধতিতে
ভাসমান সবজি চাষ;
অধিক ঘনত্বে চিংড়ি ও অন্যমাছ চাষ;
✓ কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডেরমাধ্যমে উপজেলার নির্দিষ্ট স্থানে সিসি ক্যামেরার আওতায় কৃষি ভর্তুকি প্রদান;
✓ মাছ, মুরগী ও পশুখাদ্য প্রস্তুতের কারখানা এবং গাভী পালনে ভর্তুকি;
✓ ঋববফ মূল্য কমিয়ে দুধ, ডিম, মাছ, মুরগী, গরুর মাংস এবং উপজাতের (ঘি, মিষ্টি, কেক) মূল্য কমানো;
✓ হাওড়ে হাঁস চাষ ও হ্যাচারিতে ডিম ফুটানো।
সহ একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ এর পরামর্শ দিয়েছেন