০৩:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মন্নুজান সুফিয়ানের দখলে থাকা জুট মিল দখলমুক্ত করেছে প্রশাসন

স্টাফ রিপোর্টার।।
খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজানের নির্দেশনায় দখল করা জুট মিলটি দখলমুক্ত করেছে খুলনা জেলা প্রশাসন। সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের উপস্থিতিতে প্রায় নয় বছর পর মিলে প্রবেশ করলেন মিলের চেয়ারম্যানসহ সাবেক কর্মকর্তারা।
জানা যায়, ২০১৫ সালের পর বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের নির্দেশনায় তার ভাই এবং এপিএস মো. সাহাবুদ্দিন এবং যুবলীগ নেতা সাজ্জাদুর রহমান লিংকন মিলটি দখল করে নেন। গত ১৮ আগস্ট মিলের চেয়ারম্যান খুলনা জেলা প্রশাসকের কাছে মিলটি দখলমুক্ত করতে আবেদন করেন। এরপর জেলা প্রশাসন একটি তদন্ত টিম করে গতকাল মিলটি সরেজমিন দখলমুক্ত করতে পাঠান। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মিলের বিভিন্ন গোডাউনের তালা ভেঙে ভেতরের অবস্থা দেখা হয়।
মিলের চেয়ারম্যান মো. কাওছার জামান জানান, মন্নুজানের নেতৃত্বে প্রায় ৮২ একরের মিলটি দখল করে রাখা হয়েছিল। তার লোকজন মিলটিকে ধ্বংস করেছে এবং হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান বন্ধ করেছে। মিলের প্রায় ৩০ কোটি টাকা মূল্যের মালামাল নেই। খুব দ্রুত এ বিষয়ে আমি মামলা করব।
জেলা প্রশাসকের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আশরাফুল হক বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ৬ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়। এটার ইনভেনটরি করা হবে। উল্লেখ্য, গত ১৭ আগস্ট খুলনা প্রেস ক্লাবে মিল দখল করার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন এবং ১৫ আগস্ট মন্নুজানের ভাই মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন এবং খানজাহান আলী থানার যুবলীগের আহবায়ক সাজ্জাদুর রহমান লিংকনের বিরুদ্ধে মিলটি লুটপাটের মামলা করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

জীববৈচিত্রে সমৃদ্ধ সুন্দরবন সুন্দর থাকুক

মন্নুজান সুফিয়ানের দখলে থাকা জুট মিল দখলমুক্ত করেছে প্রশাসন

Update Time : ০৭:০৭:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার।।
খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজানের নির্দেশনায় দখল করা জুট মিলটি দখলমুক্ত করেছে খুলনা জেলা প্রশাসন। সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের উপস্থিতিতে প্রায় নয় বছর পর মিলে প্রবেশ করলেন মিলের চেয়ারম্যানসহ সাবেক কর্মকর্তারা।
জানা যায়, ২০১৫ সালের পর বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের নির্দেশনায় তার ভাই এবং এপিএস মো. সাহাবুদ্দিন এবং যুবলীগ নেতা সাজ্জাদুর রহমান লিংকন মিলটি দখল করে নেন। গত ১৮ আগস্ট মিলের চেয়ারম্যান খুলনা জেলা প্রশাসকের কাছে মিলটি দখলমুক্ত করতে আবেদন করেন। এরপর জেলা প্রশাসন একটি তদন্ত টিম করে গতকাল মিলটি সরেজমিন দখলমুক্ত করতে পাঠান। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মিলের বিভিন্ন গোডাউনের তালা ভেঙে ভেতরের অবস্থা দেখা হয়।
মিলের চেয়ারম্যান মো. কাওছার জামান জানান, মন্নুজানের নেতৃত্বে প্রায় ৮২ একরের মিলটি দখল করে রাখা হয়েছিল। তার লোকজন মিলটিকে ধ্বংস করেছে এবং হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান বন্ধ করেছে। মিলের প্রায় ৩০ কোটি টাকা মূল্যের মালামাল নেই। খুব দ্রুত এ বিষয়ে আমি মামলা করব।
জেলা প্রশাসকের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আশরাফুল হক বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ৬ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়। এটার ইনভেনটরি করা হবে। উল্লেখ্য, গত ১৭ আগস্ট খুলনা প্রেস ক্লাবে মিল দখল করার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন এবং ১৫ আগস্ট মন্নুজানের ভাই মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন এবং খানজাহান আলী থানার যুবলীগের আহবায়ক সাজ্জাদুর রহমান লিংকনের বিরুদ্ধে মিলটি লুটপাটের মামলা করা হয়।