০৮:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যৌতুকের জন্য স্ত্রী হত্যায় কামরাঙ্গীরচরের স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:২৭:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৬ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে নয় বছর আগে এক স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। নারীর ওপর দীর্ঘদিন ধর্ষণমূলক ও শারীরিক নির্যাতনের পর ঘটে যাওয়া এই হত্যাকাণ্ডে আদালত বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রায় ঘোষণা করে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান আসামি সোহেল রানাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আদালত তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে হত্যাকাণ্ডে তার মা শিউলী বেগম এবং ফুফু মাজেদা বেগমের কোনো সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে। আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৩ সালে সোহেল রানা মোছাম্মৎ সোনিয়া আক্তারের সঙ্গে বিবাহিত হন। বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য তাকে নিয়মিত মারধর করতেন। মেয়ের সংসার বাঁচাতে সোনিয়ার বাবা মো. চান মিয়া ৯০ হাজার টাকা যৌতুক প্রদান করেন। এরপরও আরও ৫০ হাজার টাকার দাবিতে সোনিয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৬ সালের ১৭ জুলাই রাত ৩টা থেকে সকাল ৮টার মধ্যে সোহেল রানা সহ অন্যান্য আসামি কামরাঙ্গীরচরের লোহার ব্রিজের ঢালে ইমাম আলীর গলির বাড়িতে বালিশ চাপা দিয়ে সোনিয়াকে হত্যা করেন। ১৮ জুলাই নিহতের বাবা কামরাঙ্গীরচর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশের তদন্ত শেষে ওই বছরের ২৬ অক্টোবর তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
বিচার প্রক্রিয়া ২০১৮ সালের ৩ জুলাই অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে শুরু হয়। মামলার সময়ে মোট ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আত্মপক্ষ শুনানি ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনার পর আদালত সোহেল রানাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করে

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নিরাপদ সড়ক দিবসের আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত

যৌতুকের জন্য স্ত্রী হত্যায় কামরাঙ্গীরচরের স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড

Update Time : ০৩:২৭:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে নয় বছর আগে এক স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। নারীর ওপর দীর্ঘদিন ধর্ষণমূলক ও শারীরিক নির্যাতনের পর ঘটে যাওয়া এই হত্যাকাণ্ডে আদালত বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রায় ঘোষণা করে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান আসামি সোহেল রানাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আদালত তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে হত্যাকাণ্ডে তার মা শিউলী বেগম এবং ফুফু মাজেদা বেগমের কোনো সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে। আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৩ সালে সোহেল রানা মোছাম্মৎ সোনিয়া আক্তারের সঙ্গে বিবাহিত হন। বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য তাকে নিয়মিত মারধর করতেন। মেয়ের সংসার বাঁচাতে সোনিয়ার বাবা মো. চান মিয়া ৯০ হাজার টাকা যৌতুক প্রদান করেন। এরপরও আরও ৫০ হাজার টাকার দাবিতে সোনিয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৬ সালের ১৭ জুলাই রাত ৩টা থেকে সকাল ৮টার মধ্যে সোহেল রানা সহ অন্যান্য আসামি কামরাঙ্গীরচরের লোহার ব্রিজের ঢালে ইমাম আলীর গলির বাড়িতে বালিশ চাপা দিয়ে সোনিয়াকে হত্যা করেন। ১৮ জুলাই নিহতের বাবা কামরাঙ্গীরচর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশের তদন্ত শেষে ওই বছরের ২৬ অক্টোবর তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
বিচার প্রক্রিয়া ২০১৮ সালের ৩ জুলাই অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে শুরু হয়। মামলার সময়ে মোট ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আত্মপক্ষ শুনানি ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনার পর আদালত সোহেল রানাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করে