০৬:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুন্দরবনকে আমরাই প্রতিনিয়ত হত্যা করছি

  • আলী আজীম
  • Update Time : ০৭:১৮:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪
  • ২৯৪ Time View

আলী আজীম, মোংলা (বাগেরহাট):
সুন্দরবন নিয়ে আমাদের যে গর্ব, তা রক্ষা করতে হবে। সুন্দরবন রক্ষায় উদ্যোগ নিতে হবে। যেসব নদী ও খাল সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে, সেগুলোর দূষণ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট হিসেবে খ্যাত এই বনে রয়েছে ঈর্ষণীয় জীববৈচিত্র্য। তাই সুন্দরবন শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্বঐতিহ্যের অংশ।কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের ঐতিহ্যের ও গর্বের এই সুন্দরবনকে আমরাই প্রতিনিয়ত হত্যা করছি। 
শনিবার (৯ই মার্চ) সকাল ১০টায় উপজেলা কৃষি অফিস ও কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার এর আয়োজনে “সুন্দরবন সংরক্ষণে করনীয়” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা আরো বলেন, একদিকে জলবায়ু সংকটে লবণাক্ততা বৃদ্ধি, অন্যদিকে সুন্দরবনে মিষ্টি পানির প্রবাহ হ্রাস পেয়েছে। এর ফলে সুন্দরবনের পরিবেশগত পরিবর্তন লক্ষণীয়। প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট নানা হুমকির মুখে রয়েছে সুন্দরবনসহ দেশের সব বনাঞ্চল। তাই সুন্দরবনসহ দেশের সব বনাঞ্চল রক্ষায় সরকারকে আন্তরিক হতে হবে। সুন্দরবন পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল। যা কিনা বিশ্বের বিস্ময়াবলির ঐতিহ্যের একটি অংশ।
প্রাকৃতিক ও মানব সৃষ্ট নানা দুর্বিপাকে সুন্দরবন অস্তিত্ব বিপন্ন। সুন্দরবন বাংলাদেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় একটি সম্পদ। অর্থনীতিতে এর অবদান অপরিসীম। এই বন থাকার কারণে আজকে আমরা সৌভাগ্যবান। এটি যেহেতু রাষ্ট্রীয় একটি মহামূল্যবান সম্পদ, তাই এটি রক্ষার্থে রাষ্ট্রকে আরও সামনে এগিয়ে আসতে হবে।
সুন্দরবনকে বাঁচানোর জন্য এর গবেষণার পরিধি আরও বাড়াতে হবে। মিটিং ও সমাবেশের মাধ্যমে প্রান্তিক জনপদের মানুষের মধ্যে সুন্দরবনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরলেই শুধু হবে না। জাতীয় স্বার্থেই সুন্দরবন রক্ষার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। 
অবাধে গাছ চুরি হয়। নির্বিচারে বনের পরিবেশ দূষণ করা হয়। বর্জ্যের মধ্যে বিপুল পরিমাণ পলিথিন ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকসামগ্রী থাকছে। জোয়ার-ভাটার পানিতে এসব বর্জ্য ভেসে চলে যাচ্ছে বিভিন্ন শাখা খাল, নদ ও সুন্দরবনে। এই বর্জ্য ফেলা রোধে স্থানীয় প্রশাসন কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে।
পশুর রিভার ওয়াটারকিপার্স পরিবেশকর্মী মোঃ নূর আলম শেখ’র সঞ্চালনায় ও ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর সদস্য সচিব ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’র সমন্বয়কারী শরীফ জামিল’র সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুর রহমান।
অন্যন্যের মধ্যে সুরমা রিভার ওয়াটার কিপার’র আব্দুল করিম কিম, রিভার বাংলা’র সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, জিউধরা ষ্টেষন কর্মকর্তা মো. আ. হান্নান প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আন্দোলনকারীদের সংযত থাকার আহ্বান নেপালের সেনাপ্রধানের

সুন্দরবনকে আমরাই প্রতিনিয়ত হত্যা করছি

Update Time : ০৭:১৮:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪

আলী আজীম, মোংলা (বাগেরহাট):
সুন্দরবন নিয়ে আমাদের যে গর্ব, তা রক্ষা করতে হবে। সুন্দরবন রক্ষায় উদ্যোগ নিতে হবে। যেসব নদী ও খাল সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে, সেগুলোর দূষণ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট হিসেবে খ্যাত এই বনে রয়েছে ঈর্ষণীয় জীববৈচিত্র্য। তাই সুন্দরবন শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্বঐতিহ্যের অংশ।কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের ঐতিহ্যের ও গর্বের এই সুন্দরবনকে আমরাই প্রতিনিয়ত হত্যা করছি। 
শনিবার (৯ই মার্চ) সকাল ১০টায় উপজেলা কৃষি অফিস ও কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার এর আয়োজনে “সুন্দরবন সংরক্ষণে করনীয়” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা আরো বলেন, একদিকে জলবায়ু সংকটে লবণাক্ততা বৃদ্ধি, অন্যদিকে সুন্দরবনে মিষ্টি পানির প্রবাহ হ্রাস পেয়েছে। এর ফলে সুন্দরবনের পরিবেশগত পরিবর্তন লক্ষণীয়। প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট নানা হুমকির মুখে রয়েছে সুন্দরবনসহ দেশের সব বনাঞ্চল। তাই সুন্দরবনসহ দেশের সব বনাঞ্চল রক্ষায় সরকারকে আন্তরিক হতে হবে। সুন্দরবন পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল। যা কিনা বিশ্বের বিস্ময়াবলির ঐতিহ্যের একটি অংশ।
প্রাকৃতিক ও মানব সৃষ্ট নানা দুর্বিপাকে সুন্দরবন অস্তিত্ব বিপন্ন। সুন্দরবন বাংলাদেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় একটি সম্পদ। অর্থনীতিতে এর অবদান অপরিসীম। এই বন থাকার কারণে আজকে আমরা সৌভাগ্যবান। এটি যেহেতু রাষ্ট্রীয় একটি মহামূল্যবান সম্পদ, তাই এটি রক্ষার্থে রাষ্ট্রকে আরও সামনে এগিয়ে আসতে হবে।
সুন্দরবনকে বাঁচানোর জন্য এর গবেষণার পরিধি আরও বাড়াতে হবে। মিটিং ও সমাবেশের মাধ্যমে প্রান্তিক জনপদের মানুষের মধ্যে সুন্দরবনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরলেই শুধু হবে না। জাতীয় স্বার্থেই সুন্দরবন রক্ষার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। 
অবাধে গাছ চুরি হয়। নির্বিচারে বনের পরিবেশ দূষণ করা হয়। বর্জ্যের মধ্যে বিপুল পরিমাণ পলিথিন ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকসামগ্রী থাকছে। জোয়ার-ভাটার পানিতে এসব বর্জ্য ভেসে চলে যাচ্ছে বিভিন্ন শাখা খাল, নদ ও সুন্দরবনে। এই বর্জ্য ফেলা রোধে স্থানীয় প্রশাসন কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে।
পশুর রিভার ওয়াটারকিপার্স পরিবেশকর্মী মোঃ নূর আলম শেখ’র সঞ্চালনায় ও ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর সদস্য সচিব ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’র সমন্বয়কারী শরীফ জামিল’র সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুর রহমান।
অন্যন্যের মধ্যে সুরমা রিভার ওয়াটার কিপার’র আব্দুল করিম কিম, রিভার বাংলা’র সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, জিউধরা ষ্টেষন কর্মকর্তা মো. আ. হান্নান প্রমুখ।