০৬:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশজুড়ে রক্তক্ষয়ী সংঘাত, নিহত ১০৩

সবুজদিন প্রতিবেদক।।
গুলি, হামলা ও পাল্টা হামলায় আর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে, গতকাল রোববার অগ্নিগর্ভ ছিল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা। এতে নিহত হয়েছেন ১৪ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০৩ জন। নিহতদের মধ্যে রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন এলাকার ৯২ জন। আর ঢাকায় প্রাণ গেছে ১১ জনের। গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন তিন সহস্রাধিক। নিহতদের মধ্যে শিক্ষার্থী, এক সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদের ১৯ নেতাকর্মী রয়েছেন। সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে সিরাজগঞ্জে। সেখানকার এনায়েতপুর থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে সংঘাতে গতকাল সিরাজগঞ্জে প্রাণ গেছে ২২ জনের। আন্দোলন ঘিরে গত কয়েক দিনে এ নিয়ে মোট নিহত হয়েছেন ৩১৮ জন।

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলনকারীর সঙ্গে গতকাল দিনভর আওয়ামী লীগ সমর্থক ও পুলিশের এ সংঘর্ষ হয়। এ ছাড়া হাসপাতাল, সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা, থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগেরও ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জড়িত অনেকের হাতে লাঠিসোটা ও আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গেছে। আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীনদের অন্তত ৩৫ কার্যালয়ে ভাঙচুর শেষে পুড়িয়ে দিয়েছে। বিপরীতে বিএনপির দুটি কার্যালয়ে আগুন দেয় সরকার সমর্থকরা। অনেক এলাকায় এমপি ও নেতার বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ সোমবার থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, আজ কারফিউ ভাঙলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সোমবার থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ এবং সারাদেশের নিম্ন আদালত বন্ধ ঘোষণা করেছে কোর্ট প্রশাসন। দেশের সব তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বিজিএমইএ।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি এক দিন এগিয়ে আজ সোমবার করার ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীসহ সব অভিভাবককে ঘরে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেছে সরকার।
রাজধানীর উত্তরা, মিরপুর, শাহবাগ, বাংলামটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, পুরান ঢাকা, যাত্রাবাড়ী, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ছিল উত্তাল। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকারদলীয় নেতাকর্মীর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) হামলার পর ১৩টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। সেখানে আন্দোলনকারীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকার কোনো কোনো এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও আন্দোলনকারীর মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সংঘাত হয়। রাজধানীর রামপুরাসহ কয়েকটি এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ, বাংলামটর, কারওয়ান বাজার ও ফার্মগেটে জড়ো হয়। এসব এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।
দিনভর সংঘাতে ঢাকায় নিহতদের মধ্যে তিন শিক্ষার্থী ও এক আওয়ামী লীগ নেতাও আছেন। নিহত আওয়ামী লীগ নেতা প্রকৌশলী আনোয়ারুল ইসলাম ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য। এ ছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আড়াই শতাধিক। তাদের অধিকাংশ গুলিবিদ্ধ। বিক্ষোভকারীর একটি অংশ শাহবাগ থেকে দুপুরের দিকে বাংলামটরের দিকে যাত্রা করে। এ সময় রামপুরা থেকে মিছিল নিয়ে বিক্ষোভকারীরা বাংলামটরে যুক্ত হয়। পরে একযোগে তারা কারওয়ান বাজার হয়ে বিকেল ৩টায় ফার্মগেটে পৌঁছায়। এরপর সেখানে আরেক দফা সংঘর্ষ হয়। এতে ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজারে অন্তত দু’জন নিহত এবং পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন।
ঢাকার বাইরে নিহতদের মধ্যে সিরাজগঞ্জে ১৩ পুলিশসহ ২২, লক্ষ্মীপুরে ১১, ফেনীতে ৮, নরসিংদীতে ৬ আওয়ামী লীগ নেতা, সিলেটে ৬, কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের তিনজনসহ ৫, রংপুরে ৫, বগুড়ায় ৪, মাগুরায় ৪, মুন্সীগঞ্জে ৩, পাবনায় ৩, কুমিল্লায় পুলিশসহ ৩, শেরপুরে ৩, জয়পুরহাটে ২, বরিশালে এক আওয়ামী লীগ নেতা, গাজীপুর, কুড়িগ্রাম, কক্সবাজার, ভোলা, টাঙ্গাইলে ও হবিগঞ্জে একজন করে রয়েছেন। ঢাকার পাশের কেরানীগঞ্জে এক আওয়ামী লীগ নেতা, সাভারের আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে একজন করে নিহত হয়েছেন।
উত্তরায় বিক্ষোভে গুলি
রাজধানীর উত্তরায় আন্দোলনকারীর বিক্ষোভে গুলি চালিয়েছে অস্ত্রধারীরা। অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচিতে অংশ নিতে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও অন্যান্য পেশার লোকজন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেন।
বেলা ১১টার পরপরই আন্দোলনকারীরা উত্তরায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে রাজলক্ষ্মী, আজমপুর ও হাউস বিল্ডিং বাসস্ট্যান্ড এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেন। থেমে থেমে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় শতাধিক আহত হন। আহতদের অধিকাংশ আন্দোলনকারী। উত্তরায় আহতদের মধ্যে মাহমুদুর রহমান, জোবায়ের, মহসিন, শাকিলসহ ২০ জনের বেশি গুলিবিদ্ধ হন।
এদিন দুপুর আড়াইটার দিকে উত্তরার রাজলক্ষ্মীর কুশল সেন্টারের সামনে আহত হন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য প্রকৌশলী আনোয়ারুল ইসলাম (৬৭)। তাঁকে ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। প্রকৌশলী আনোয়ারের ছেলে মেহেদি আনোয়ার জয় জানিয়েছেন, তাঁর বাবার শরীরে তিনটি গুলি লেগেছে। প্রকৌশলী আনোয়ারুল সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসানের চাচাতো ভাই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আন্দোলনকারীদের সংযত থাকার আহ্বান নেপালের সেনাপ্রধানের

দেশজুড়ে রক্তক্ষয়ী সংঘাত, নিহত ১০৩

Update Time : ০৮:০৪:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪

সবুজদিন প্রতিবেদক।।
গুলি, হামলা ও পাল্টা হামলায় আর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে, গতকাল রোববার অগ্নিগর্ভ ছিল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা। এতে নিহত হয়েছেন ১৪ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০৩ জন। নিহতদের মধ্যে রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন এলাকার ৯২ জন। আর ঢাকায় প্রাণ গেছে ১১ জনের। গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন তিন সহস্রাধিক। নিহতদের মধ্যে শিক্ষার্থী, এক সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদের ১৯ নেতাকর্মী রয়েছেন। সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে সিরাজগঞ্জে। সেখানকার এনায়েতপুর থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে সংঘাতে গতকাল সিরাজগঞ্জে প্রাণ গেছে ২২ জনের। আন্দোলন ঘিরে গত কয়েক দিনে এ নিয়ে মোট নিহত হয়েছেন ৩১৮ জন।

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলনকারীর সঙ্গে গতকাল দিনভর আওয়ামী লীগ সমর্থক ও পুলিশের এ সংঘর্ষ হয়। এ ছাড়া হাসপাতাল, সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা, থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগেরও ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জড়িত অনেকের হাতে লাঠিসোটা ও আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গেছে। আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীনদের অন্তত ৩৫ কার্যালয়ে ভাঙচুর শেষে পুড়িয়ে দিয়েছে। বিপরীতে বিএনপির দুটি কার্যালয়ে আগুন দেয় সরকার সমর্থকরা। অনেক এলাকায় এমপি ও নেতার বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ সোমবার থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, আজ কারফিউ ভাঙলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সোমবার থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ এবং সারাদেশের নিম্ন আদালত বন্ধ ঘোষণা করেছে কোর্ট প্রশাসন। দেশের সব তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বিজিএমইএ।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি এক দিন এগিয়ে আজ সোমবার করার ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীসহ সব অভিভাবককে ঘরে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেছে সরকার।
রাজধানীর উত্তরা, মিরপুর, শাহবাগ, বাংলামটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, পুরান ঢাকা, যাত্রাবাড়ী, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ছিল উত্তাল। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকারদলীয় নেতাকর্মীর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) হামলার পর ১৩টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। সেখানে আন্দোলনকারীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকার কোনো কোনো এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও আন্দোলনকারীর মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সংঘাত হয়। রাজধানীর রামপুরাসহ কয়েকটি এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ, বাংলামটর, কারওয়ান বাজার ও ফার্মগেটে জড়ো হয়। এসব এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।
দিনভর সংঘাতে ঢাকায় নিহতদের মধ্যে তিন শিক্ষার্থী ও এক আওয়ামী লীগ নেতাও আছেন। নিহত আওয়ামী লীগ নেতা প্রকৌশলী আনোয়ারুল ইসলাম ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য। এ ছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আড়াই শতাধিক। তাদের অধিকাংশ গুলিবিদ্ধ। বিক্ষোভকারীর একটি অংশ শাহবাগ থেকে দুপুরের দিকে বাংলামটরের দিকে যাত্রা করে। এ সময় রামপুরা থেকে মিছিল নিয়ে বিক্ষোভকারীরা বাংলামটরে যুক্ত হয়। পরে একযোগে তারা কারওয়ান বাজার হয়ে বিকেল ৩টায় ফার্মগেটে পৌঁছায়। এরপর সেখানে আরেক দফা সংঘর্ষ হয়। এতে ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজারে অন্তত দু’জন নিহত এবং পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন।
ঢাকার বাইরে নিহতদের মধ্যে সিরাজগঞ্জে ১৩ পুলিশসহ ২২, লক্ষ্মীপুরে ১১, ফেনীতে ৮, নরসিংদীতে ৬ আওয়ামী লীগ নেতা, সিলেটে ৬, কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের তিনজনসহ ৫, রংপুরে ৫, বগুড়ায় ৪, মাগুরায় ৪, মুন্সীগঞ্জে ৩, পাবনায় ৩, কুমিল্লায় পুলিশসহ ৩, শেরপুরে ৩, জয়পুরহাটে ২, বরিশালে এক আওয়ামী লীগ নেতা, গাজীপুর, কুড়িগ্রাম, কক্সবাজার, ভোলা, টাঙ্গাইলে ও হবিগঞ্জে একজন করে রয়েছেন। ঢাকার পাশের কেরানীগঞ্জে এক আওয়ামী লীগ নেতা, সাভারের আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে একজন করে নিহত হয়েছেন।
উত্তরায় বিক্ষোভে গুলি
রাজধানীর উত্তরায় আন্দোলনকারীর বিক্ষোভে গুলি চালিয়েছে অস্ত্রধারীরা। অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচিতে অংশ নিতে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও অন্যান্য পেশার লোকজন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেন।
বেলা ১১টার পরপরই আন্দোলনকারীরা উত্তরায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে রাজলক্ষ্মী, আজমপুর ও হাউস বিল্ডিং বাসস্ট্যান্ড এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেন। থেমে থেমে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় শতাধিক আহত হন। আহতদের অধিকাংশ আন্দোলনকারী। উত্তরায় আহতদের মধ্যে মাহমুদুর রহমান, জোবায়ের, মহসিন, শাকিলসহ ২০ জনের বেশি গুলিবিদ্ধ হন।
এদিন দুপুর আড়াইটার দিকে উত্তরার রাজলক্ষ্মীর কুশল সেন্টারের সামনে আহত হন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য প্রকৌশলী আনোয়ারুল ইসলাম (৬৭)। তাঁকে ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। প্রকৌশলী আনোয়ারের ছেলে মেহেদি আনোয়ার জয় জানিয়েছেন, তাঁর বাবার শরীরে তিনটি গুলি লেগেছে। প্রকৌশলী আনোয়ারুল সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসানের চাচাতো ভাই।