০৯:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের চার প্রতিনিধির সঙ্গে আইজিপির বৈঠক

সবুজদিন অনলাইন ডেস্ক।।
আন্দোলনরত চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের চার প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম। আজ রবিবার ৭টার দিকে পুলিশ সদর দপ্তরের ভেতর থেকে চারজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এর আগে সামান্য কারণে বিভাগীয় মামলা, বেআইনি আদেশ না শোনা, ডোপ টেস্টের নামে ফাঁদ, ছুটি না দেওয়ায় তর্ক করাসহ নানা কারণে গত ১৫ বছরে চাকরিচ্যুত হওয়া হাজারো পুলিশ সদস্য অবস্থান নিয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে। সদর দপ্তরের প্রধান গেটসহ দুটি গেইট বন্ধ করে আইজিপিসহ সব কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছেন তারা।
পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত অ্যাডিশনাল ডিআইজি কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে যিনি আইজিপি তিনি অতীতের কোনো আইজিপির মতো নন। তিনি আপনাদের দাবির ব্যাপারে ওয়াকিবহাল। আপনাদের দাবি তিনি শুনেছেন। আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘চাকরি হারানোর নানা কারণ ছিল। কার কী কারণে চাকরি গেছে, তা বিশ্লেষণ করতে হবে। অহেতুক কারও চাকরি গেলে অবশ্যই তারা চাকরি ফেরত পাবেন, তবে এ জন্য একটা প্রসিডিউর রয়েছে। আইজিপি আপনাদের সঙ্গে বসে কথা বলতে চান। তবে সবাই না গিয়ে আপনাদের মধ্য থেকে দুইজন প্রতিনিধি আইজিপির সঙ্গে বৈঠক করবেন, আপনাদের দাবি উপস্থাপন করবেন।’
পরে আন্দোলনরত চাকরিহারা পুলিশ সদস্যদের পক্ষ থেকে চারজন সদস্য পাঠানোর ব্যাপারে অনুরোধ করা হয়। সেটি মেনে নেওয়া হলে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের পক্ষ থেকে চারজন সমন্বয়ক দায়িত্ব নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন।
এদিকে, আজ বিকেল থেকে পুলিশ সদর দপ্তরের সামনের সড়কের দুই লেন বন্ধ করে বিক্ষোভ ও স্লোগান দিচ্ছেন চাকরিচ্যুতরা। এতে করে পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে সড়কে যান চলাচল স্থগিত হয়ে যায়। এ সময় চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা স্লোগান দেন- আমার পোশাক ফিরিয়ে দে, নইলে বিষ কিনে দে; কেউ পাবে, কেউ পাবে না, তা হবে না তা হবে না; নির্বাহী আদেশে জব দিতে হবে, এক দফা এক দাবি মানতে হবে মানতে হবে; হই হই রই রই, বেনজীর গেলো কই; হই হই রই রই, মামুন গেলো কই; হই হই রই রই, হারুন গেলো কই; হই হই রই রই বিপ্লব-বাতেন গেলো কই; স্বাধীন বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আন্দোলনকারীদের সংযত থাকার আহ্বান নেপালের সেনাপ্রধানের

চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের চার প্রতিনিধির সঙ্গে আইজিপির বৈঠক

Update Time : ০৪:৪৬:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪

সবুজদিন অনলাইন ডেস্ক।।
আন্দোলনরত চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের চার প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম। আজ রবিবার ৭টার দিকে পুলিশ সদর দপ্তরের ভেতর থেকে চারজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এর আগে সামান্য কারণে বিভাগীয় মামলা, বেআইনি আদেশ না শোনা, ডোপ টেস্টের নামে ফাঁদ, ছুটি না দেওয়ায় তর্ক করাসহ নানা কারণে গত ১৫ বছরে চাকরিচ্যুত হওয়া হাজারো পুলিশ সদস্য অবস্থান নিয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে। সদর দপ্তরের প্রধান গেটসহ দুটি গেইট বন্ধ করে আইজিপিসহ সব কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছেন তারা।
পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত অ্যাডিশনাল ডিআইজি কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে যিনি আইজিপি তিনি অতীতের কোনো আইজিপির মতো নন। তিনি আপনাদের দাবির ব্যাপারে ওয়াকিবহাল। আপনাদের দাবি তিনি শুনেছেন। আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘চাকরি হারানোর নানা কারণ ছিল। কার কী কারণে চাকরি গেছে, তা বিশ্লেষণ করতে হবে। অহেতুক কারও চাকরি গেলে অবশ্যই তারা চাকরি ফেরত পাবেন, তবে এ জন্য একটা প্রসিডিউর রয়েছে। আইজিপি আপনাদের সঙ্গে বসে কথা বলতে চান। তবে সবাই না গিয়ে আপনাদের মধ্য থেকে দুইজন প্রতিনিধি আইজিপির সঙ্গে বৈঠক করবেন, আপনাদের দাবি উপস্থাপন করবেন।’
পরে আন্দোলনরত চাকরিহারা পুলিশ সদস্যদের পক্ষ থেকে চারজন সদস্য পাঠানোর ব্যাপারে অনুরোধ করা হয়। সেটি মেনে নেওয়া হলে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের পক্ষ থেকে চারজন সমন্বয়ক দায়িত্ব নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন।
এদিকে, আজ বিকেল থেকে পুলিশ সদর দপ্তরের সামনের সড়কের দুই লেন বন্ধ করে বিক্ষোভ ও স্লোগান দিচ্ছেন চাকরিচ্যুতরা। এতে করে পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে সড়কে যান চলাচল স্থগিত হয়ে যায়। এ সময় চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা স্লোগান দেন- আমার পোশাক ফিরিয়ে দে, নইলে বিষ কিনে দে; কেউ পাবে, কেউ পাবে না, তা হবে না তা হবে না; নির্বাহী আদেশে জব দিতে হবে, এক দফা এক দাবি মানতে হবে মানতে হবে; হই হই রই রই, বেনজীর গেলো কই; হই হই রই রই, মামুন গেলো কই; হই হই রই রই, হারুন গেলো কই; হই হই রই রই বিপ্লব-বাতেন গেলো কই; স্বাধীন বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই।