পাইকগাছা প্রতিনিধি।।
পাইকগাছায় মেসার্স সসতা ফিসের সত্ত্বাধিকারী শিবপদ মন্ডলের বাড়ীতে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তাকে ব্যবহার করে পাইকগাছা উপজেলা বি এন পির সাধারণ সম্পাদক এস এম এনামুল হকের বহিষ্কারে প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার বিকালে পাইকগাছা বাজারে নিজ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,উপদজেলার সোলাদানা ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান এস এম এনামুল হক সোলাদানা ইউনিয়নের হিন্দু সম্প্রদায়ের আশ্রয়স্থল। তিনি হিন্দুদের জানমালের রক্ষার জন্য বিভিন্ন সময় জীবন বাজী রেখেছেন। হিন্দুদের জায়গা জমি ভূমি দস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার সহ লীজ ঘের উদ্ধারের জন্য একাধিক বার ভূমিকা রেখেছেন। এক যুগেরও বেশি সময় আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আমাদের প্রহরী হয়ে পাহারা দিয়ে রেখেছেন। ৫ আগষ্ট সরকার পরিবর্তন হলে ঐ সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। সন্ধ্যা রাতে কে বা কারা লাঠি শোটা সহকারে আমার বাড়ীতে ঢুকে ভাংচর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। আমার পিতা, কাকা, স্ত্রী সহ সকলে বাড়ীতে ছিল।কিন্তু তাদের তান্ডবে সবাই হতভম্ব হয়ে পড়ে। সংবাদ পেয়ে সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হকের স্মরনাপন্ন হওয়ার চেষ্টা করি। তখম জানতে পারি, উনি থানায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের সহিত মত বিনিময়ে আছেন। পরে যোগাযোগ মাধ্যমে ও পত্রিকা মারফত জানতে পারি, আমার নাম ব্যবহার করে এনামুল হককে তার রাজনৈতিক দল বি এন পি থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তখন আমি হতভম্ব হয়ে পড়ি। এনামুল হক আমার বাড়ীতে যায়নি। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্হিত ছিলেন শিবপদ মন্ডলের পিতা পতিরাম মন্ডল, স্ত্রী কৃষ্না রানী, কাকা, ভাই ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
পাইকগাছায় চিংড়ি ঘের ও ধান্য জমি দখলের অভিযোগ
পাইকগাছা(খুলনা)প্রতিনিধি
খুলনার পাইকগাছায় চিংড়ি ঘের ও ধান্য জমি দখল করে ভাংচুর,অগ্নি সংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এ সংকট মুহূর্তে প্রতিপক্ষরা উপজেলার গড়ইখালীর কেকচিবুনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জমির মালিকদের পক্ষে মোঃ নবীর আলী শেখ ও মনিরুল শেখ বাদী হয়ে মিজান জোয়াদ্দার, তার ছেলে ইমরান হোসেন, জাকির সানা,মোস্তফা জামান মন্টু,স ম রেজাউল, শহর আলী, নজরুল ইসলাম, বিহারি বাবু, বাচ্চু গাজী সহ অনেকের বিরুদ্ধে সেনা কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছে। এ নিয়ে এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। জমির মালিক নবীর আলী শেখ জানান,বিগত ১৯৬৪ সাল থেকে বিনিয়ম সূত্রে ২৪০বিঘা জমি ভোগ দখল করে আসছি। এ নিয়ে জেলা যুগ্ম ৪র্থ জজ আদালতে দেওয়ানী ৭৯/৯৮ মামলায় আদালত বিবাদীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন। কিন্তু প্রতিপক্ষরা আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মৎস্য ঘের ও ধান্য জমি দখল করে নিয়েছে। এ বিষয়ে মিজান জোয়াদ্দার বলেন,আমরা ক্রয়সুত্রে জমির মালিক। কিন্তু বিগত প্রায় ১৪বছর ধরে প্রতিপক্ষরা এ সম্পত্তি দখল করে রেখেছিল। যা আমরা দখল মুক্ত করেছি।