১০:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনায় জমা পড়েনি ১৮২টি অস্ত্র, জনমনে শঙ্কা

স্টাফ রিপোর্টার
নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও খুলনা বিভাগে ১৮২টি অস্ত্র এখনো জমা দেননি লাইসেন্স ধারীরা। ফলে জনমনে নানা শঙ্কা দেখা দিয়েছে। নাগরিক নেতারা বলছেন, এসব অস্ত্র উদ্ধার না হলে হুমকিতে পড়বে জননিরাপত্তা। তবে প্রশাসন বলছে, মালিকদের অবস্থান ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, খুলনা মহানগর এবং জেলায় ২০০৯ থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত মোট ২ হাজার ২৯৯টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করা হয়। এর মধ্যে খুলনা মহানগরে ১০টি লাইসেন্সের বিপরীতে কোনো অস্ত্র কেনা হয়নি। ৪৮৬টি লাইসেন্সের মালিক অস্ত্র কিনেছেন। যার মধ্যে একনলা বন্দুক, আটটি দোনলা বন্দুক, শটগান, এনপিবি রিভলভার ও পিস্তল রয়েছে। ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় জমা পড়েছে ২ হাজার ১১৭টি আগ্নেয়াস্ত্র। এর মধ্যে খুলনা জেলার ১৮২টি অস্ত্র এখনও জমা পড়েনি। অনেকেই বলছেন এসব অস্ত্র উদ্ধার না হলে হুমকিতে পড়বে জননিরাপত্তা।
খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব অ্যাড. মো. বাবুল হাওলাদার বলেন, বর্তমানে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফোর্স যৌথবাহিনীর অভিযানে যদি অস্ত্র উদ্ধার করা না যায়, তাহলে এটি একটি নেগেটিভ ইঙ্গিত বহন করে। যেটা নাগরিক নিরাপত্তায় ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠতে পারে। এদিকে অস্ত্র উদ্ধার ও আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ এডিসি মিডিয়া আহসান হাবীব বলেন, ৩ তারিখের মধ্যে যে সকল অস্ত্র জমা পড়েনি সেগুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য নিয়ে তা উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
খুলনার স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ইউসুপ আলী বলেন, যে সকল জায়গায় অস্ত্র জমা পড়ার কথা সেগুলো চেক করে যদি না পাওয়া যায়, তাহলে আর্মস অ্যাক্ট অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আন্দোলনকারীদের সংযত থাকার আহ্বান নেপালের সেনাপ্রধানের

খুলনায় জমা পড়েনি ১৮২টি অস্ত্র, জনমনে শঙ্কা

Update Time : ০৭:৩৪:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার
নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও খুলনা বিভাগে ১৮২টি অস্ত্র এখনো জমা দেননি লাইসেন্স ধারীরা। ফলে জনমনে নানা শঙ্কা দেখা দিয়েছে। নাগরিক নেতারা বলছেন, এসব অস্ত্র উদ্ধার না হলে হুমকিতে পড়বে জননিরাপত্তা। তবে প্রশাসন বলছে, মালিকদের অবস্থান ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, খুলনা মহানগর এবং জেলায় ২০০৯ থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত মোট ২ হাজার ২৯৯টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করা হয়। এর মধ্যে খুলনা মহানগরে ১০টি লাইসেন্সের বিপরীতে কোনো অস্ত্র কেনা হয়নি। ৪৮৬টি লাইসেন্সের মালিক অস্ত্র কিনেছেন। যার মধ্যে একনলা বন্দুক, আটটি দোনলা বন্দুক, শটগান, এনপিবি রিভলভার ও পিস্তল রয়েছে। ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় জমা পড়েছে ২ হাজার ১১৭টি আগ্নেয়াস্ত্র। এর মধ্যে খুলনা জেলার ১৮২টি অস্ত্র এখনও জমা পড়েনি। অনেকেই বলছেন এসব অস্ত্র উদ্ধার না হলে হুমকিতে পড়বে জননিরাপত্তা।
খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব অ্যাড. মো. বাবুল হাওলাদার বলেন, বর্তমানে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফোর্স যৌথবাহিনীর অভিযানে যদি অস্ত্র উদ্ধার করা না যায়, তাহলে এটি একটি নেগেটিভ ইঙ্গিত বহন করে। যেটা নাগরিক নিরাপত্তায় ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠতে পারে। এদিকে অস্ত্র উদ্ধার ও আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ এডিসি মিডিয়া আহসান হাবীব বলেন, ৩ তারিখের মধ্যে যে সকল অস্ত্র জমা পড়েনি সেগুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য নিয়ে তা উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
খুলনার স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ইউসুপ আলী বলেন, যে সকল জায়গায় অস্ত্র জমা পড়ার কথা সেগুলো চেক করে যদি না পাওয়া যায়, তাহলে আর্মস অ্যাক্ট অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।