০৬:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অভিবাসন ইস্যুতে শিকাগোর মেয়র ও ইলিনয় গভর্নরকে কারাগারে পাঠানোর দাবি ট্রাম্পের

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:০১:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫
  • ৪৫ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইলিনয়ের ডেমোক্র্যাট নেতাদের কারাগারে পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ তারা ট্রাম্পের ব্যাপক অভিবাসন নির্বাসন অভিযান প্রতিরোধ করছেন। অভিবাসন নির্বাসন অভিযানে সহায়তা করতে টেক্সাস থেকে সশস্ত্র সেনারা ইলিনয়ে পৌঁছানোর একদিন পর এ এ আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। বুধবার (৮ অক্টোবর) ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, “শিকাগোর মেয়রকে জেলে পাঠানো উচিত! তিনি আইসিই কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন! গভর্নর প্রিৎসকারকেও!” কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
ইলিনয়ের বৃহত্তম এবং যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম শহর শিকাগো, এখন ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসনবিরোধী অভিযানের সর্বশেষ উত্তপ্ত কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এই অভিযানের লক্ষ্য লাখ লাখ অভিবাসীকে বহিষ্কার করা।
অভিযানটি পরিচালনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। আইসিই এজেন্টরা একাধিক ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন শহরে হানা দিচ্ছে। অবশ্য এসব অভিযানে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে এবং ফেডারেল দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, শহর ও অঙ্গরাজ্যের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বিক্ষোভ সামলাতে যথেষ্ট। তবে ট্রাম্প দাবি করছেন, ফেডারেল এজেন্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনা মোতায়েন প্রয়োজন। সমালোচকরা বলছেন, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রে কর্তৃত্ববাদ বাড়াচ্ছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস ও ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের পর মঙ্গলবার ইলিনয়ে ২০০ সেনা পৌঁছায়।
শিকাগোর বাইরে একটি অভিবাসন দপ্তরের ভবনে ফেডারেল এজেন্ট ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষও হয়েছে।
গভর্নর জে.বি. প্রিৎসকার, শিকাগোতে সাংবাদিকদের বলেন, ফেডারেল সরকার আমাদের সঙ্গে তাদের সেনা চলাচল নিয়ে কোনও যোগাযোগ করেনি। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমাকে বলতে হচ্ছে—‘আমেরিকান শহরে সেনা চলাচল’—কিন্তু আমরা এখন সেটাই নিয়ে কথা বলছি।
কতজন সেনা রাস্তায় থাকবে, তা নির্ধারণ করবে আদালত। বৃহস্পতিবার ইলিনয় ও শিকাগোর পক্ষ থেকে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনকে অবৈধ ঘোষণা চেয়ে করা আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা।
শিকাগোর মেয়র ব্র্যান্ডন জনসন এবং ইলিনয় গভর্নর জে.বি. প্রিৎসকারের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের এই আক্রমণ ডেমোক্র্যাট প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে তার সাম্প্রতিক ধারাবাহিক প্রকাশ্য অভিযোগেরই ধারাবাহিকতা।
এটি এমন এক দিনেই এসেছে যেদিন সাবেক এফবিআই পরিচালক জেমস কোমিকে কংগ্রেসে মিথ্যা বলার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। এর মাত্র কয়েক দিন আগে ট্রাম্প তার অ্যাটর্নি জেনারেলকে কোমি ও অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানিয়েছিলেন।
২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে দেখা হয় প্রিৎসকারকে। ট্রাম্পের কঠোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত তিনি।
ট্রাম্পের এই অভিবাসন অভিযান তার প্রধান নির্বাচনি অঙ্গীকার পূরণের প্রচেষ্টা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নিরাপদ সড়ক দিবসের আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত

অভিবাসন ইস্যুতে শিকাগোর মেয়র ও ইলিনয় গভর্নরকে কারাগারে পাঠানোর দাবি ট্রাম্পের

Update Time : ০৫:০১:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইলিনয়ের ডেমোক্র্যাট নেতাদের কারাগারে পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ তারা ট্রাম্পের ব্যাপক অভিবাসন নির্বাসন অভিযান প্রতিরোধ করছেন। অভিবাসন নির্বাসন অভিযানে সহায়তা করতে টেক্সাস থেকে সশস্ত্র সেনারা ইলিনয়ে পৌঁছানোর একদিন পর এ এ আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। বুধবার (৮ অক্টোবর) ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, “শিকাগোর মেয়রকে জেলে পাঠানো উচিত! তিনি আইসিই কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন! গভর্নর প্রিৎসকারকেও!” কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
ইলিনয়ের বৃহত্তম এবং যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম শহর শিকাগো, এখন ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসনবিরোধী অভিযানের সর্বশেষ উত্তপ্ত কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এই অভিযানের লক্ষ্য লাখ লাখ অভিবাসীকে বহিষ্কার করা।
অভিযানটি পরিচালনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। আইসিই এজেন্টরা একাধিক ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন শহরে হানা দিচ্ছে। অবশ্য এসব অভিযানে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে এবং ফেডারেল দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, শহর ও অঙ্গরাজ্যের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বিক্ষোভ সামলাতে যথেষ্ট। তবে ট্রাম্প দাবি করছেন, ফেডারেল এজেন্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনা মোতায়েন প্রয়োজন। সমালোচকরা বলছেন, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রে কর্তৃত্ববাদ বাড়াচ্ছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস ও ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের পর মঙ্গলবার ইলিনয়ে ২০০ সেনা পৌঁছায়।
শিকাগোর বাইরে একটি অভিবাসন দপ্তরের ভবনে ফেডারেল এজেন্ট ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষও হয়েছে।
গভর্নর জে.বি. প্রিৎসকার, শিকাগোতে সাংবাদিকদের বলেন, ফেডারেল সরকার আমাদের সঙ্গে তাদের সেনা চলাচল নিয়ে কোনও যোগাযোগ করেনি। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমাকে বলতে হচ্ছে—‘আমেরিকান শহরে সেনা চলাচল’—কিন্তু আমরা এখন সেটাই নিয়ে কথা বলছি।
কতজন সেনা রাস্তায় থাকবে, তা নির্ধারণ করবে আদালত। বৃহস্পতিবার ইলিনয় ও শিকাগোর পক্ষ থেকে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনকে অবৈধ ঘোষণা চেয়ে করা আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা।
শিকাগোর মেয়র ব্র্যান্ডন জনসন এবং ইলিনয় গভর্নর জে.বি. প্রিৎসকারের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের এই আক্রমণ ডেমোক্র্যাট প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে তার সাম্প্রতিক ধারাবাহিক প্রকাশ্য অভিযোগেরই ধারাবাহিকতা।
এটি এমন এক দিনেই এসেছে যেদিন সাবেক এফবিআই পরিচালক জেমস কোমিকে কংগ্রেসে মিথ্যা বলার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। এর মাত্র কয়েক দিন আগে ট্রাম্প তার অ্যাটর্নি জেনারেলকে কোমি ও অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানিয়েছিলেন।
২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে দেখা হয় প্রিৎসকারকে। ট্রাম্পের কঠোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত তিনি।
ট্রাম্পের এই অভিবাসন অভিযান তার প্রধান নির্বাচনি অঙ্গীকার পূরণের প্রচেষ্টা।