০৬:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মোংলায় আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস পালিত

  • আলী আজীম
  • Update Time : ০৮:৪০:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৬ Time View

আলী আজীম, মোংলা ।।
মোংলায় এনজিও সংস্থা বাদাবন সংঘ’র
উদ্যোগে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস পালিত হয়েছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় উপজেলার চিলা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর থেকে দিবসটি উপলক্ষে র‌্যালি বের হয়ে বৌদ্দমারী বাজার প্রদক্ষিণ করে পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে শতাধিক নারী অংশগ্রহণ করেন।
এসময় বক্তারা বলেন, অন্দরমহল থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্র, উন্নয়ন সর্বত্রই নারীদের শ্রম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। দেশে নারী ও পুরুষের অনুপাতে নারীর সংখ্যাও বেশি। বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদÐ কৃষিতে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। গৃহকোণ বা কৃষি, গ্রামীণ অর্থনীতির সর্বত্র নারীদের বিশেষ ভূমিকা থাকলেও তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বঞ্চিত। প্রতিবছরই পঞ্জিকা ধরে দিবসটি আসে, চলেও যায়। এ দিবস উপলক্ষ্যে সভা-সেমিনারে গ্রামীণ নারীদের উন্নয়নে নানা আঙ্গিকে আলোচনাও হয়। তারপর যেমন চলার, তেমনই চলে। তাদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয় না।
বাদাবন সংঘের সেন্টার ম্যানেজার নাজমিরা জুঁই বলেন, এ দিনটি শুধু উদযাপনের জন্য নয় বরং আমাদের সমাজে গ্রামীণ নারীদের অবদান, সংগ্রাম ও সক্ষমতাকে স্বীকৃতি দেওয়ার দিন। গ্রামীণ নারীরাই আমাদের সমাজের নীরব শক্তি।
নারীরা ভোরের আলো ফোটার আগেই ঘর থেকে কাজ শুরু করেন। সন্তান লালন-পালন, কৃষিকাজ, গবাদিপশু পালন, মাছ চাষ, বীজ সংরক্ষণ এমনকি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায়ও তারা সামনের সারিতে রয়েছেন।
তবুও আজও তাদের শ্রমের যথাযথ মূল্যায়ন হয় না, সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গায় তাদের কণ্ঠস্বর শোনা যায় না। বাদাবন সংঘ সব সময় বিশ্বাস করে নারীর ক্ষমতায়ন মানেই টেকসই উন্নয়নের পথ।
আমরা মাঠপর্যায়ে কাজ করে দেখেছি, যখন একজন নারী অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হন, তখন শুধু তিনি নন- তার পরিবার, তার সমাজও এগিয়ে যায়। তাই আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব, গ্রামীণ নারীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ও জীবিকা উন্নয়নে পাশে থাকা।
আমি বাদাবন সংঘের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দিতে চাই- আমরা মাঠপর্যায়ে নারীর অধিকার, জীবিকা, ও নেতৃত্ব বিকাশে কাজ চালিয়ে যাব। যাতে প্রতিটি প্রামীণ নারী নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে গর্ব করে বলতে পারেন “আমি পারি, আমি বদলে দিতে পারি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল চেয়ারম্যান কৌশিক কৌলিক কানু, শিপ্রা হালদার, বাদাবন সংঘের প্রোগ্রাম অর্গানাইজার কামরুন্নাহার প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নিরাপদ সড়ক দিবসের আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত

মোংলায় আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস পালিত

Update Time : ০৮:৪০:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

আলী আজীম, মোংলা ।।
মোংলায় এনজিও সংস্থা বাদাবন সংঘ’র
উদ্যোগে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস পালিত হয়েছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় উপজেলার চিলা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর থেকে দিবসটি উপলক্ষে র‌্যালি বের হয়ে বৌদ্দমারী বাজার প্রদক্ষিণ করে পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে শতাধিক নারী অংশগ্রহণ করেন।
এসময় বক্তারা বলেন, অন্দরমহল থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্র, উন্নয়ন সর্বত্রই নারীদের শ্রম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। দেশে নারী ও পুরুষের অনুপাতে নারীর সংখ্যাও বেশি। বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদÐ কৃষিতে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। গৃহকোণ বা কৃষি, গ্রামীণ অর্থনীতির সর্বত্র নারীদের বিশেষ ভূমিকা থাকলেও তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বঞ্চিত। প্রতিবছরই পঞ্জিকা ধরে দিবসটি আসে, চলেও যায়। এ দিবস উপলক্ষ্যে সভা-সেমিনারে গ্রামীণ নারীদের উন্নয়নে নানা আঙ্গিকে আলোচনাও হয়। তারপর যেমন চলার, তেমনই চলে। তাদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয় না।
বাদাবন সংঘের সেন্টার ম্যানেজার নাজমিরা জুঁই বলেন, এ দিনটি শুধু উদযাপনের জন্য নয় বরং আমাদের সমাজে গ্রামীণ নারীদের অবদান, সংগ্রাম ও সক্ষমতাকে স্বীকৃতি দেওয়ার দিন। গ্রামীণ নারীরাই আমাদের সমাজের নীরব শক্তি।
নারীরা ভোরের আলো ফোটার আগেই ঘর থেকে কাজ শুরু করেন। সন্তান লালন-পালন, কৃষিকাজ, গবাদিপশু পালন, মাছ চাষ, বীজ সংরক্ষণ এমনকি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায়ও তারা সামনের সারিতে রয়েছেন।
তবুও আজও তাদের শ্রমের যথাযথ মূল্যায়ন হয় না, সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গায় তাদের কণ্ঠস্বর শোনা যায় না। বাদাবন সংঘ সব সময় বিশ্বাস করে নারীর ক্ষমতায়ন মানেই টেকসই উন্নয়নের পথ।
আমরা মাঠপর্যায়ে কাজ করে দেখেছি, যখন একজন নারী অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হন, তখন শুধু তিনি নন- তার পরিবার, তার সমাজও এগিয়ে যায়। তাই আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব, গ্রামীণ নারীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ও জীবিকা উন্নয়নে পাশে থাকা।
আমি বাদাবন সংঘের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দিতে চাই- আমরা মাঠপর্যায়ে নারীর অধিকার, জীবিকা, ও নেতৃত্ব বিকাশে কাজ চালিয়ে যাব। যাতে প্রতিটি প্রামীণ নারী নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে গর্ব করে বলতে পারেন “আমি পারি, আমি বদলে দিতে পারি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল চেয়ারম্যান কৌশিক কৌলিক কানু, শিপ্রা হালদার, বাদাবন সংঘের প্রোগ্রাম অর্গানাইজার কামরুন্নাহার প্রমুখ।