১১:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবৈধভাবে কাঁকড়া শিকার, ১১ নৌকাসহ ২০ জেলে আটক

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবন সংলগ্ন পশুর নদে অবৈধভাবে প্রবেশ করে কাঁকড়া ধরার সময় ২০ জেলেকে আটক করেছে বনরক্ষীরা।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে পশুর নদীতে অভিযান চালিয়ে পূর্ব সুন্দরবনের ঢাংমারী ষ্টেশনের বনরক্ষীরা তাদের আটক করে। এসময় কাঁকড়া ধরার কাজে ব্যবহৃত ১১টি নৌকাসহ বিভিন্ন সরঞ্জমাদি জব্দ করেন তারা।
আটককৃতরা হলো- সোহাগ খান, মামুন ফকির, কৃষ্ণ মন্ডল, নুর সাদেক, শহীদ শেখ, হরমুজ মুছল্লি, সুজন গাজী, আবদুল্লা শেখ, ছেলে রবিউল শেখ, মোকলেস শেখ, সাইফুল ফকির, হাসান শেখ, মোঃ বোরহান, মোঃ শাহদত, জসিম মল্লিক, ছয়ফুল্লা মল্লিক, জোবায়ের সরদার, সবুজ শেখ, হোসেন গাজী ও ইয়াসিন গাজী। তাদের সবার বাড়ী বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার সোনাইলতলা ইউনিয়নে ও রামপাল উপজেলার কাটা খাল এলাকার বিভিন্ন গ্রামে।
ঢাংমারী ষ্টেশন কর্মকর্তা মোঃ মহসিন আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম চলছে। তাই ১ জানুয়ারী থেকে ২৮ ফেব্রয়ারী এ দুই মাস কাঁকড়া ধরা বা কোন জলযান দিয়ে পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে বনবিভাগ। কিন্ত সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মোংলা উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন কয়েকটি এলাকার লোকজন অবৈধভাবে বনে প্রবেশ করে কাঁকড়া শিকার করছিলো। গোপনে খবর পেয়ে পশুর নদী সংলগ্ন রেখামারি খাল থেকে তাদের আটক করা হয়।
এসময় তাদের কাছে কাকড়া ধরার ফাঁদ, কুইচা ( কাকঁড়ার খাবার) ও ক্যারেট সহ বিভিন্ন সরঞ্জামসহ ১১টি নৌকা জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আন্দোলনকারীদের সংযত থাকার আহ্বান নেপালের সেনাপ্রধানের

অবৈধভাবে কাঁকড়া শিকার, ১১ নৌকাসহ ২০ জেলে আটক

Update Time : ০৫:৩৬:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবন সংলগ্ন পশুর নদে অবৈধভাবে প্রবেশ করে কাঁকড়া ধরার সময় ২০ জেলেকে আটক করেছে বনরক্ষীরা।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে পশুর নদীতে অভিযান চালিয়ে পূর্ব সুন্দরবনের ঢাংমারী ষ্টেশনের বনরক্ষীরা তাদের আটক করে। এসময় কাঁকড়া ধরার কাজে ব্যবহৃত ১১টি নৌকাসহ বিভিন্ন সরঞ্জমাদি জব্দ করেন তারা।
আটককৃতরা হলো- সোহাগ খান, মামুন ফকির, কৃষ্ণ মন্ডল, নুর সাদেক, শহীদ শেখ, হরমুজ মুছল্লি, সুজন গাজী, আবদুল্লা শেখ, ছেলে রবিউল শেখ, মোকলেস শেখ, সাইফুল ফকির, হাসান শেখ, মোঃ বোরহান, মোঃ শাহদত, জসিম মল্লিক, ছয়ফুল্লা মল্লিক, জোবায়ের সরদার, সবুজ শেখ, হোসেন গাজী ও ইয়াসিন গাজী। তাদের সবার বাড়ী বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার সোনাইলতলা ইউনিয়নে ও রামপাল উপজেলার কাটা খাল এলাকার বিভিন্ন গ্রামে।
ঢাংমারী ষ্টেশন কর্মকর্তা মোঃ মহসিন আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম চলছে। তাই ১ জানুয়ারী থেকে ২৮ ফেব্রয়ারী এ দুই মাস কাঁকড়া ধরা বা কোন জলযান দিয়ে পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে বনবিভাগ। কিন্ত সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মোংলা উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন কয়েকটি এলাকার লোকজন অবৈধভাবে বনে প্রবেশ করে কাঁকড়া শিকার করছিলো। গোপনে খবর পেয়ে পশুর নদী সংলগ্ন রেখামারি খাল থেকে তাদের আটক করা হয়।
এসময় তাদের কাছে কাকড়া ধরার ফাঁদ, কুইচা ( কাকঁড়ার খাবার) ও ক্যারেট সহ বিভিন্ন সরঞ্জামসহ ১১টি নৌকা জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।