০৩:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটে কোরিয়া গমনেচ্ছুক যুবককে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ

স্টাফ রিপোটার, বাগেরহাট।।
বাগেরহাটে চাঁদা না দেওয়ায় কোরিয়া গমনেচ্ছুক সোহেল খান (৩০) নামের এক যুবককে ১০ পিস ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। মিথ্যা মামলায় হয়রানীর শিকার যুবক সোহেল খান কোরিয়া যাওয়া নিয়ে অণিশ্চতার মধ্যে পড়েছে। দ্রুত মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে পুলিশের উধ্বর্তন কতৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন। বুধবার (১৪আগস্ট)দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন সোহেল খান।
হয়রনীর শিকার সোহেল খান বলেন, ১ জুলাই সন্ধ্যায় বাগেরহাট শহরের মাছ বাজার এলাকায় চটপটি খাবার পর হঠাৎ পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাক পরিহিত ৫-৭জন লোক হাতে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে নদীর পাড়ে নিয়ে ছুরি ধরে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। এরপরে আমি আমার মা ও শ্বশুর ও বন্ধুর কাছে কল দিয়ে টাকা চাই। টাকা দিতে দেরি হওয়ায় আমি তাদের কাছে অনুরোধ করি কি আমার অপরাধ , আমি তো কোন অন্যায় করেনি, আমি দক্ষিণ কোরিয়ায় যাব আমার মা জরায়ু টিউমার অপারেশন করে অসুস্থ এবং বাবা মিনি স্ট্রোক করায় অসুস্থ । বাড়িতে দেখার মত কেউ নাই এমন কিছু করবেন না তারপরও তারা আমার কোন কথা শোনেননি।
তিনি আরও বলেন, পরে সেখান থেকে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে জনতে পারি থানায় কর্মরত সাদা পোশাকে থাকা কনস্টেবল তাইমুর ও মামুন। আত্মীয় স্বজনের সাথে যোগাযোগ করেও টাকা দিতে না পাড়ায় তাকে ২ লক্ষ টাকা দিতে চাপ প্রয়োগ করে। কোন টাকা না পেয়ে এক পর্যায়ে ৩০ পিস ইয়াবা দিয়ে মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে ১০ পিস ইয়াবা দিয়ে মামলা রুজু করবে সেই বাবদ ২০ হাজার টাকা নেয়। পরে ১০ পিস ইয়াবার মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। ১১ দিন কারাগারে থেকে ১৩ জুলাই অস্থায়ী জামিনে বের হই। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দিবে না বলে মামলা নিস্পত্তির জন্য লেনদেনের প্রস্তাব দেয়। বিষয়টি পুলিশের উর্দ্ধোতন কর্মকর্তাদের জানালে তারা দ্রুত তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি, এই অবস্থায় আমি ক্ষতিপূরণ চাই এবং দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেলুর রহমান বলেছেন, ভুক্তভোগী সোহেল খানের দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বরৈ জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আন্দোলনকারীদের সংযত থাকার আহ্বান নেপালের সেনাপ্রধানের

বাগেরহাটে কোরিয়া গমনেচ্ছুক যুবককে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ

Update Time : ০৯:০০:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪

স্টাফ রিপোটার, বাগেরহাট।।
বাগেরহাটে চাঁদা না দেওয়ায় কোরিয়া গমনেচ্ছুক সোহেল খান (৩০) নামের এক যুবককে ১০ পিস ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। মিথ্যা মামলায় হয়রানীর শিকার যুবক সোহেল খান কোরিয়া যাওয়া নিয়ে অণিশ্চতার মধ্যে পড়েছে। দ্রুত মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে পুলিশের উধ্বর্তন কতৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন। বুধবার (১৪আগস্ট)দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন সোহেল খান।
হয়রনীর শিকার সোহেল খান বলেন, ১ জুলাই সন্ধ্যায় বাগেরহাট শহরের মাছ বাজার এলাকায় চটপটি খাবার পর হঠাৎ পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাক পরিহিত ৫-৭জন লোক হাতে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে নদীর পাড়ে নিয়ে ছুরি ধরে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। এরপরে আমি আমার মা ও শ্বশুর ও বন্ধুর কাছে কল দিয়ে টাকা চাই। টাকা দিতে দেরি হওয়ায় আমি তাদের কাছে অনুরোধ করি কি আমার অপরাধ , আমি তো কোন অন্যায় করেনি, আমি দক্ষিণ কোরিয়ায় যাব আমার মা জরায়ু টিউমার অপারেশন করে অসুস্থ এবং বাবা মিনি স্ট্রোক করায় অসুস্থ । বাড়িতে দেখার মত কেউ নাই এমন কিছু করবেন না তারপরও তারা আমার কোন কথা শোনেননি।
তিনি আরও বলেন, পরে সেখান থেকে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে জনতে পারি থানায় কর্মরত সাদা পোশাকে থাকা কনস্টেবল তাইমুর ও মামুন। আত্মীয় স্বজনের সাথে যোগাযোগ করেও টাকা দিতে না পাড়ায় তাকে ২ লক্ষ টাকা দিতে চাপ প্রয়োগ করে। কোন টাকা না পেয়ে এক পর্যায়ে ৩০ পিস ইয়াবা দিয়ে মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে ১০ পিস ইয়াবা দিয়ে মামলা রুজু করবে সেই বাবদ ২০ হাজার টাকা নেয়। পরে ১০ পিস ইয়াবার মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। ১১ দিন কারাগারে থেকে ১৩ জুলাই অস্থায়ী জামিনে বের হই। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দিবে না বলে মামলা নিস্পত্তির জন্য লেনদেনের প্রস্তাব দেয়। বিষয়টি পুলিশের উর্দ্ধোতন কর্মকর্তাদের জানালে তারা দ্রুত তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি, এই অবস্থায় আমি ক্ষতিপূরণ চাই এবং দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেলুর রহমান বলেছেন, ভুক্তভোগী সোহেল খানের দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বরৈ জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা