০৩:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যে কয় কাপ চা পানে বয়সের ছাপ পড়বে ধীরে ধীরে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:১৭:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪
  • ২৬৬ Time View
চা পানকারীদের জন্য সুখবর হল, এই অভ্যাসের কারণে বাড়তে পারে আয়ু।

‘দি ল্যানসেট রিজিওনাল হেল্থ- ওয়েস্টার্ন প্যাসিফিক’ সাময়িকীতে প্রকাশিত ‘ওয়েস্ট চায়না স্কুল অফ পাবলিক হেল্থ অ্যান্ড ওয়েস্ট চায়না ফোর্থ হসপিটাল’সহ চীনের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথভাবে পরিচালিত এই গবেষষণায় দৈনিক কয় কাপ চা পানে বয়স বা জৈবিক বয়সের গতি ধীর করবে সেটা উন্মোচন করা হয়।

জৈবিক বয়স মানে হল দেহের কোষের বয়স বৃদ্ধি। আর কতটা স্বাস্থ্যকর ও সঠিকভাবে দেহ কাজ করছে সেটা নির্দেশ করে। পাশাপাশি সময়ের তালে বয়স্ক হওয়ার গতি বাড়ছে না ধীর হচ্ছে সেটাও জানান দেয় জৈবিক বয়স।

জীবনযাপনের ধারা, খাদ্যাভ্যাসসহ নানান বিষয় এই জৈবিক প্রক্রিয়াতে প্রভাব রাখে। আর এই বিষয় ধরেই গবেষণাটি করা হয়।

পর্যবেক্ষণমূলক এই গবেষণার জন্য ‘চায়না-এথনিক কোহর্ট (সিএমইসি) থেকে ৩০ থেকে ৭৯ বয়সি ৭ হাজার ৯শ’ ৩১ জনের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। পাশাপাশি ইউকে বায়োব্যাংক (ইউকেবি)’র ৩৭ থেকে ৭৩ বয়সি ৫ হাজার ৯শ ৯৮ জনের তথ্যও পর্যালোচনা করা হয়।

তাদের কাছ থেকে চা সম্পর্কিত নানান প্রশ্ন জানতে চাওয়া হয়। যেমন- কতটা ঘনঘন এবং কয় কাপ চা পান করেন।

‘ক্লেমেরা ডাবল মেথড (কেডিএম)’য়ে জৈবিক বয়সের মাত্রা গতি মাপা হয়। যা কি-না গানিতিক পদ্ধিতে জৈবিক বয়স নির্ণয়ের জন্য তৈরি করা।

গবেষণায় দাবি করা হয়, দৈনিক প্রায় তিন কাপ (৬ থেকে ৮ গ্রাম চা পাতা) চা গ্রহণের ফলে জৈবিক বয়সের গতি ধীর করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ উপকারী ভূমিকা রাখে। এখানে এক কাপ মানে ২০০ এমএল।

আর এটা অবশ্যই হতে হবে ব্ল্যাক এবং গিন টি- কোনো হার্বাল চা নয়। এমনকি চায়ে মেলানো থাকতে পারবে না অন্য কোনো উপাদান।

কী জন্য বয়সের গতি ধীর হয় সেটা গবেষণায় বলা না হলেও, গবেষকরা জানান- নানান ধরনের বায়োঅ্যাক্টিভ উপাদানের কারণে এমনটা হয়। যেমন- ইজিসিজি (এ গ্রিন টি পলিফেনল) হতে পারে একটা কারণ।

যারা একদমই চা পান করেন না তাদের তুলনায় যারা নিবেদিত চা পানকারী ও যারা চা পানকারী নয় অথচ পরে চা পান করা শুরু করেছেন- দুই দলের ক্ষেত্রেই দেখা গেছে জৈবিক বয়সের গতি ধীর হয়েছে।

পাশাপাশি চা পানকারীদের মাঝে উদ্বিগ্ন ও বিষণ্নতায় ভোগার লক্ষণও দেখা গেছে তুলনামূলক কম। এমনকি তারা অনিদ্রা রোগেও কম ভুগেছেন।

অন্যদিকে যারা চা পান করা ছেড়ে দিয়েছেন তাদের জৈবিক বয়স বাড়ার গতি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়তে দেখা গেছে।

তবে গবেষণায় বলা হয়, মদ পান করার অভ্যাস থাকলে চা থেকে এই উপকার মিলবে না। চায়ের এই গুণ যারা মদ্যপান করেন না তাদের ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলে।

 

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

জীববৈচিত্রে সমৃদ্ধ সুন্দরবন সুন্দর থাকুক

যে কয় কাপ চা পানে বয়সের ছাপ পড়বে ধীরে ধীরে

Update Time : ০৮:১৭:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪
চা পানকারীদের জন্য সুখবর হল, এই অভ্যাসের কারণে বাড়তে পারে আয়ু।

‘দি ল্যানসেট রিজিওনাল হেল্থ- ওয়েস্টার্ন প্যাসিফিক’ সাময়িকীতে প্রকাশিত ‘ওয়েস্ট চায়না স্কুল অফ পাবলিক হেল্থ অ্যান্ড ওয়েস্ট চায়না ফোর্থ হসপিটাল’সহ চীনের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথভাবে পরিচালিত এই গবেষষণায় দৈনিক কয় কাপ চা পানে বয়স বা জৈবিক বয়সের গতি ধীর করবে সেটা উন্মোচন করা হয়।

জৈবিক বয়স মানে হল দেহের কোষের বয়স বৃদ্ধি। আর কতটা স্বাস্থ্যকর ও সঠিকভাবে দেহ কাজ করছে সেটা নির্দেশ করে। পাশাপাশি সময়ের তালে বয়স্ক হওয়ার গতি বাড়ছে না ধীর হচ্ছে সেটাও জানান দেয় জৈবিক বয়স।

জীবনযাপনের ধারা, খাদ্যাভ্যাসসহ নানান বিষয় এই জৈবিক প্রক্রিয়াতে প্রভাব রাখে। আর এই বিষয় ধরেই গবেষণাটি করা হয়।

পর্যবেক্ষণমূলক এই গবেষণার জন্য ‘চায়না-এথনিক কোহর্ট (সিএমইসি) থেকে ৩০ থেকে ৭৯ বয়সি ৭ হাজার ৯শ’ ৩১ জনের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। পাশাপাশি ইউকে বায়োব্যাংক (ইউকেবি)’র ৩৭ থেকে ৭৩ বয়সি ৫ হাজার ৯শ ৯৮ জনের তথ্যও পর্যালোচনা করা হয়।

তাদের কাছ থেকে চা সম্পর্কিত নানান প্রশ্ন জানতে চাওয়া হয়। যেমন- কতটা ঘনঘন এবং কয় কাপ চা পান করেন।

‘ক্লেমেরা ডাবল মেথড (কেডিএম)’য়ে জৈবিক বয়সের মাত্রা গতি মাপা হয়। যা কি-না গানিতিক পদ্ধিতে জৈবিক বয়স নির্ণয়ের জন্য তৈরি করা।

গবেষণায় দাবি করা হয়, দৈনিক প্রায় তিন কাপ (৬ থেকে ৮ গ্রাম চা পাতা) চা গ্রহণের ফলে জৈবিক বয়সের গতি ধীর করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ উপকারী ভূমিকা রাখে। এখানে এক কাপ মানে ২০০ এমএল।

আর এটা অবশ্যই হতে হবে ব্ল্যাক এবং গিন টি- কোনো হার্বাল চা নয়। এমনকি চায়ে মেলানো থাকতে পারবে না অন্য কোনো উপাদান।

কী জন্য বয়সের গতি ধীর হয় সেটা গবেষণায় বলা না হলেও, গবেষকরা জানান- নানান ধরনের বায়োঅ্যাক্টিভ উপাদানের কারণে এমনটা হয়। যেমন- ইজিসিজি (এ গ্রিন টি পলিফেনল) হতে পারে একটা কারণ।

যারা একদমই চা পান করেন না তাদের তুলনায় যারা নিবেদিত চা পানকারী ও যারা চা পানকারী নয় অথচ পরে চা পান করা শুরু করেছেন- দুই দলের ক্ষেত্রেই দেখা গেছে জৈবিক বয়সের গতি ধীর হয়েছে।

পাশাপাশি চা পানকারীদের মাঝে উদ্বিগ্ন ও বিষণ্নতায় ভোগার লক্ষণও দেখা গেছে তুলনামূলক কম। এমনকি তারা অনিদ্রা রোগেও কম ভুগেছেন।

অন্যদিকে যারা চা পান করা ছেড়ে দিয়েছেন তাদের জৈবিক বয়স বাড়ার গতি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়তে দেখা গেছে।

তবে গবেষণায় বলা হয়, মদ পান করার অভ্যাস থাকলে চা থেকে এই উপকার মিলবে না। চায়ের এই গুণ যারা মদ্যপান করেন না তাদের ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলে।