১১:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের জামিন

  • বিনয় শাহা
  • Update Time : ০৪:৫৮:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪
  • ২৯৭ Time View

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা ||
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।
এ সময় আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়নসহ অন্য আইনজীবীরা মামুনুল হকের জামিনের শুনানি করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। তবে, জামিন শুনানির সময় মামুনুল হক আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, আমরা জামিনের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছি। মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট তুলে ধরেছি। রিপোর্টে বাদী বলেছেন স্বেচ্ছায় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। মামুনুল হকের সঙ্গে আমার বিবাহের সম্পর্ক চলমান।
এ ছাড়া, বাদীর ছেলে আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন তার মায়ের সঙ্গে মামুনুল হকের বিবাহ হয়েছে। আদালত আমাদের বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে জামিন মঞ্জুর করেছেন।
এদিকে, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় সাক্ষী ও জেরা চলমান। ১৯ মার্চ নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর এস এম শফিকুল ইসলামকে তৃতীয় দফায় জেরা করা হয়েছে। জেরা শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা আরও একদিন জেরার জন্য সময় চাইলে আদালত ২৩ এপ্রিল পরবর্তী জেরার দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করে আসছিলেন। এ সময় পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে রাখে।
এরপর ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মামুনুলকে। পরে এ ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আন্দোলনকারীদের সংযত থাকার আহ্বান নেপালের সেনাপ্রধানের

হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের জামিন

Update Time : ০৪:৫৮:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা ||
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।
এ সময় আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়নসহ অন্য আইনজীবীরা মামুনুল হকের জামিনের শুনানি করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। তবে, জামিন শুনানির সময় মামুনুল হক আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, আমরা জামিনের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছি। মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট তুলে ধরেছি। রিপোর্টে বাদী বলেছেন স্বেচ্ছায় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। মামুনুল হকের সঙ্গে আমার বিবাহের সম্পর্ক চলমান।
এ ছাড়া, বাদীর ছেলে আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন তার মায়ের সঙ্গে মামুনুল হকের বিবাহ হয়েছে। আদালত আমাদের বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে জামিন মঞ্জুর করেছেন।
এদিকে, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় সাক্ষী ও জেরা চলমান। ১৯ মার্চ নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর এস এম শফিকুল ইসলামকে তৃতীয় দফায় জেরা করা হয়েছে। জেরা শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা আরও একদিন জেরার জন্য সময় চাইলে আদালত ২৩ এপ্রিল পরবর্তী জেরার দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করে আসছিলেন। এ সময় পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে রাখে।
এরপর ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মামুনুলকে। পরে এ ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।