০৭:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রীমঙ্গলে দুই রিসোর্ট থেকে ২১ নারী-পুরুষ আটক

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে দুই রিসোর্ট থেকে ২১ নারী-পুরুষকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। আটককৃতদের মধ্যে ১১ জন নারী ১০ জন পুরুষ রয়েছেন। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ভোরে শ্রীমঙ্গলের ডলুছড়া এলাকার গ্রিন প্যালেস টি রিসোর্ট এবং টংথাই রিসোর্টে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে।
আটককৃতরা হলেন- শ্রীমঙ্গল থানার উত্তরসুর গ্রামের মীর মোহাম্মদ আবদুর রউফ, একই থানার সুরভীপাড়ার আয়শা বেগম, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার জয়লালচান গ্রামের জাবেদ মিয়া ও উলুকান্দির ফয়সাল মিয়া, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার ধাপা ইদরাপুল গ্রামের নুসরাত জাহান ইশা, নরসিংদীর শিবপুর থানার কুমরাদি গ্রামের আফছানা, পাবনার সুজানগর থানার সুমি আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার কুলাশিলের সানজিদা আক্তার, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের কোয়াচপুরের স্বপন সূত্রধর, ঢাকার হাজারীবাগ থানার হাজারিবাগের ফাহিম ইসলাম, একই থানার গনকটলি লেনের তানভীর আহমদ ও এনায়েতগঞ্জের সঞ্জয় রায়, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার গোড়াগাঁওয়ের রাহাত সিকদার, মৌলভীবাজার সদরের আমতৈল গ্রামের আবদুল্লাহ, কুলাউড়ার আকিলপুরের আবদুল্লাহ, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার ইসরাত জাহান মিতু, রাঙ্গামাটির লংগদুর জান্নাত আক্তার, চট্টগ্রামের চকরিয়া থানার তাসনিম আক্তার, বরিশালের কাউনিয়া থানার রাত্রি আক্তার ও পাখি আক্তার এবং খাগড়াছড়ি জেলার ফটিকছড়ি থানার তাসফিয়া।
জানা যায়, শ্রীমঙ্গলের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর মেজর মেজবাহ, বিজিবির মেজর এমরান ও শ্রীমঙ্গল থানার এসআই সুব্রত দাসের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। মূলত নারায়নগঞ্জের আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানকে ধরার জন্য অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। তবে শামীম ওসমানকে পাওয়া না গেলেও রিসোর্ট দুটি থেকে ২১ নারী-পুরুষকে আটক হয়।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, গত প্রায় ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের নাম বিক্রি করে গ্রিন প্যালেস টি রিসোর্ট ও টংথাই রিসোর্টের মালিকরা এই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের ও শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে এই ব্যবসা চালানো হতো।
শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভুষণ রায় জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা করে আদালতে পাঠানো হবে

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আন্দোলনকারীদের সংযত থাকার আহ্বান নেপালের সেনাপ্রধানের

শ্রীমঙ্গলে দুই রিসোর্ট থেকে ২১ নারী-পুরুষ আটক

Update Time : ০৬:৫২:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে দুই রিসোর্ট থেকে ২১ নারী-পুরুষকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। আটককৃতদের মধ্যে ১১ জন নারী ১০ জন পুরুষ রয়েছেন। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ভোরে শ্রীমঙ্গলের ডলুছড়া এলাকার গ্রিন প্যালেস টি রিসোর্ট এবং টংথাই রিসোর্টে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে।
আটককৃতরা হলেন- শ্রীমঙ্গল থানার উত্তরসুর গ্রামের মীর মোহাম্মদ আবদুর রউফ, একই থানার সুরভীপাড়ার আয়শা বেগম, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার জয়লালচান গ্রামের জাবেদ মিয়া ও উলুকান্দির ফয়সাল মিয়া, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার ধাপা ইদরাপুল গ্রামের নুসরাত জাহান ইশা, নরসিংদীর শিবপুর থানার কুমরাদি গ্রামের আফছানা, পাবনার সুজানগর থানার সুমি আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার কুলাশিলের সানজিদা আক্তার, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের কোয়াচপুরের স্বপন সূত্রধর, ঢাকার হাজারীবাগ থানার হাজারিবাগের ফাহিম ইসলাম, একই থানার গনকটলি লেনের তানভীর আহমদ ও এনায়েতগঞ্জের সঞ্জয় রায়, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার গোড়াগাঁওয়ের রাহাত সিকদার, মৌলভীবাজার সদরের আমতৈল গ্রামের আবদুল্লাহ, কুলাউড়ার আকিলপুরের আবদুল্লাহ, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার ইসরাত জাহান মিতু, রাঙ্গামাটির লংগদুর জান্নাত আক্তার, চট্টগ্রামের চকরিয়া থানার তাসনিম আক্তার, বরিশালের কাউনিয়া থানার রাত্রি আক্তার ও পাখি আক্তার এবং খাগড়াছড়ি জেলার ফটিকছড়ি থানার তাসফিয়া।
জানা যায়, শ্রীমঙ্গলের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর মেজর মেজবাহ, বিজিবির মেজর এমরান ও শ্রীমঙ্গল থানার এসআই সুব্রত দাসের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। মূলত নারায়নগঞ্জের আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানকে ধরার জন্য অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। তবে শামীম ওসমানকে পাওয়া না গেলেও রিসোর্ট দুটি থেকে ২১ নারী-পুরুষকে আটক হয়।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, গত প্রায় ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের নাম বিক্রি করে গ্রিন প্যালেস টি রিসোর্ট ও টংথাই রিসোর্টের মালিকরা এই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের ও শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে এই ব্যবসা চালানো হতো।
শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভুষণ রায় জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা করে আদালতে পাঠানো হবে