০৬:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনগণই ঠিক করবে আগামীতে কারা সরকার গঠন করবে: তারেক রহমান

সবুজদিন রিপোর্ট।।
আগামীতে কারা সরকার গঠন করবে, বাংলাদেশের জনগণই তা ঠিক করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন বলে বিএনপির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
নেতাকর্মীদের সতর্ক করে তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচার পতন, গণতন্ত্রকামী জনগণের দীর্ঘ আন্দোলনের বিজয়। নিকট অতীতে স্বৈরাচার ছিল দৃশ্যমান গণনিপীড়নকারী আর এখন স্বৈরাচারের দোসররা অদৃশ্য শক্তিরূপে জনতার বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। দৃশ্যমান প্রতিপক্ষের চাইতে অদৃশ্য শত্রুরা অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। দৃশ্যমান প্রতিপক্ষকে আমরা চিনি, তাদের আক্রমণের ধরনও আমাদের পরিচিত। কিন্তু অদৃশ্য শত্রুরা অচেনা, আর সর্বত্র তাদের অবস্থান এবং তাদের কৌশলও চোরাগুপ্তা। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের সার্বক্ষণিক সতর্ক থাকতে হবে।
দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, তৃণমূল সতর্ক নজরদারি রাখলে কোনো ষড়যন্ত্রকারীই দলের সুনাম ক্ষুন্ন করতে পারবে না, ইনশাআল্লাহ। একইসঙ্গে দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী সব অদৃশ্য ও দৃশ্যমান শক্তিকে প্রতিহত করতে তৃণমূলকে সজাগ, ঐক্যবদ্ধ এবং সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেন তারেক রহমান।
এদিকে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বানীতে তারেক রহমান বলেন, গণতন্ত্রকে নির্বাসন থেকে ফিরিয়ে আনার সময় এসেছে। আইনের শাসন, মতপ্রকাশ, সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারলেই দেড় যুগব্যাপী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহিদদের আত্মদান সার্থক হবে।
তারেক রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভলগ্নে আমাদের অঙ্গীকার হোক বাংলাদেশকে নিপীড়ন-নির্যাতনসহ সব পৈশাচিকতা মুক্ত একটি সুস্থির-শান্তিময় নাগরিক অধিকার সুরক্ষার দেশ হিসেবে গড়ে তোলা। দেশজুড়ে যেন আর কখনোই গুম, গুপ্তহত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নারী ও শিশুদের ওপর পৈশাচিকতা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, টাকা পাচারের মতো ঘৃণ্য বিভীষিকার পুনরাবৃত্তি না হয়। জনগণের অধিকার আদায়ে তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের ধারা আবারও পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই এখন বিএনপির মূল লক্ষ্য।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আন্দোলনকারীদের সংযত থাকার আহ্বান নেপালের সেনাপ্রধানের

জনগণই ঠিক করবে আগামীতে কারা সরকার গঠন করবে: তারেক রহমান

Update Time : ০৮:২৩:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সবুজদিন রিপোর্ট।।
আগামীতে কারা সরকার গঠন করবে, বাংলাদেশের জনগণই তা ঠিক করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন বলে বিএনপির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
নেতাকর্মীদের সতর্ক করে তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচার পতন, গণতন্ত্রকামী জনগণের দীর্ঘ আন্দোলনের বিজয়। নিকট অতীতে স্বৈরাচার ছিল দৃশ্যমান গণনিপীড়নকারী আর এখন স্বৈরাচারের দোসররা অদৃশ্য শক্তিরূপে জনতার বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। দৃশ্যমান প্রতিপক্ষের চাইতে অদৃশ্য শত্রুরা অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। দৃশ্যমান প্রতিপক্ষকে আমরা চিনি, তাদের আক্রমণের ধরনও আমাদের পরিচিত। কিন্তু অদৃশ্য শত্রুরা অচেনা, আর সর্বত্র তাদের অবস্থান এবং তাদের কৌশলও চোরাগুপ্তা। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের সার্বক্ষণিক সতর্ক থাকতে হবে।
দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, তৃণমূল সতর্ক নজরদারি রাখলে কোনো ষড়যন্ত্রকারীই দলের সুনাম ক্ষুন্ন করতে পারবে না, ইনশাআল্লাহ। একইসঙ্গে দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী সব অদৃশ্য ও দৃশ্যমান শক্তিকে প্রতিহত করতে তৃণমূলকে সজাগ, ঐক্যবদ্ধ এবং সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেন তারেক রহমান।
এদিকে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বানীতে তারেক রহমান বলেন, গণতন্ত্রকে নির্বাসন থেকে ফিরিয়ে আনার সময় এসেছে। আইনের শাসন, মতপ্রকাশ, সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারলেই দেড় যুগব্যাপী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহিদদের আত্মদান সার্থক হবে।
তারেক রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভলগ্নে আমাদের অঙ্গীকার হোক বাংলাদেশকে নিপীড়ন-নির্যাতনসহ সব পৈশাচিকতা মুক্ত একটি সুস্থির-শান্তিময় নাগরিক অধিকার সুরক্ষার দেশ হিসেবে গড়ে তোলা। দেশজুড়ে যেন আর কখনোই গুম, গুপ্তহত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নারী ও শিশুদের ওপর পৈশাচিকতা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, টাকা পাচারের মতো ঘৃণ্য বিভীষিকার পুনরাবৃত্তি না হয়। জনগণের অধিকার আদায়ে তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের ধারা আবারও পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই এখন বিএনপির মূল লক্ষ্য।